পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ دي 6 يخ( হীরাজি ব্যস্ত ভাবে বলিল, “আস্তে কথা বলিস, আজ তুই খুব বুদ্ধির পরিচয় দিয়াছিস, জেমসেটজিকে বলিয়া তোর মাইন বাড়াইয়। দিব ; কিন্তু আমাদের কথার অবাধ্য হইলে তোর ভয়ঙ্কর বিপদ হইবে । প্রেমজির সহিত যদি কেহ দেখা করিতে আসে, তাহা হইলে, তাহাদের মধ্যে কি কথাবাৰ্ত্ত হয় তাহা লুকাইয়া শুনিয়া আমাকে বলিস। প্রেমজি কখন বাহিরে যায় ও কখন ফিরিয়া আসে, তাহ যেন আমি জানিতে পারি ” ■ ৮ এই নুতন বাড়ীতে আসিয়া প্রথমটা প্রেমজির যেন বাধ বাধ ঠেকিতে লাগিল। প্রথম রাত্রে তাহার ভাল ঘুম হইল না, নানা দুশ্চিস্তায় তাহার সমস্ত রাত্রি কাটিয়া গেল । পরদিন প্রভাতে হীরাজির উপদেশাচুসারে প্রেমজি তাহার একজন ছাত্রের গৃহে বেহালা শিখাইতে গেল। হীরাজি তাহার উপর বিশেষ দৃষ্টি রাখিয়াছিল ; প্রেমজি তাহার উপদেশানুসারে চলিতেছে, দেখিয়া সে খুব খুলী হইল। পরদিন যখন হীরাজি ডাক্তার লালুভাইকে সঙ্গে লইয়। প্রেমজির গৃহে উপস্থিত হইল, তখন প্রেমজি বাহিরে গিয়াছিল। ডাক্তার বলিলেন, “হীরাজি, চারিদিকের অবস্থা বেশ আশাপ্রদ বোধ হইতেছে ; কাৰ্য্যোদ্ধারে বোধ হয় আর অধিক বিলম্ব হইবে না।” হীরাজি গম্ভীরস্বরে বুলিল, “মেটাসাহেবের কন্যার সহিত যতক্ষণ পৰ্য্যন্ত পেষ্টনজি সাপুরজির বিবাহ না হইতেছে, ততক্ষণ পৰ্য্যস্ত আমি কোন আশাই করিতে পারিতেছি না ; এই বিবাহটা শেষ করাই সকল অপেক্ষা কঠিন কাজ ; ইতি মধ্যে কখন কোন দিক্ হইতে কি ৰিপদ আসিয়া পড়ে তাহা বুঝিতে পারিতেছি না।” > ア