পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՋԵ8 নমদনে নরক এখন আমাদের প্রধান কাজ এজরা সাহেবের উত্তরাধিকারীকে র্তাহার হস্তে সমর্পণ করা।” ইতি মধ্যে দ্বারে কে করাঘাত করিল। জেমসেটুজি উঠিয়া গিয়৷ দ্বার খুলিয়া দিয়া আসিলেন ; দ্বার খুলিবামাত্র প্রেমজি সেই কক্ষে প্রবেশ করিয়া বলিল, “আজ বড় সুসংবাদ আছে, নাথুর বায়ের পিতা বিবাহে সন্মতি দান করিয়াছেন। এখন আমার পক্ষ হইতে প্রস্তাব উঠিলেই বিবাহটা ঠিক হইয়া যাইতে পারে। এবিষয়ে আমি ডাক্তার সাহেবের সাহায্য প্রার্থনা করি।” সহসা সেই সঙ্গে উকীল বামনজির আবির্ভাব হইল । জেমসেটুজি বামনজিকে বলিলেন, “এজর পরিবার সম্বন্ধে তুমি যত কথ। জান, আমি তাহ অপেক্ষণ অনেক বেশী জানি । এজরা সাহেব যাহা বলিয়াছেন, তুমি তাহাই মাত্র শুনিয়াছ ; আর তাহ হইতেই তুমি ভাবিয়াছ, সকল রহস্যের মূল আবিষ্কার করিবে, ভ্রম, মহাভ্রম। তুমি জান না, কিন্তু দীর্ঘকাল হইতে আমি এই রহস্য ভেদের চেষ্টা করিতেছি । সৰ্ব্বপ্রথমে আমি এ রহস্তের সন্ধান কোথায় পাই জান ?—তোমার বোধ হয় মনে আছে, এব্রাহিমজি ইরাণী নামক একজন মোক্তার লোককে ভয় দেখাইয় অসৎ উপায়ে অর্থোপার্জন করিত ; শেষে একটা জালের মামলায় পড়িয় তাহার জেল হয়। সেই এব্রাহিম বড় লোকদের চাকরবাকরের নিকট হইতে পুরাতন চিঠিপত্র কাগজ প্রভৃতি ক্রয় করিত। সেই সকল কাগজের ভিতর অনুসন্ধান করিয়া সে অনেক গুপ্ত রহস্তের অস্তিত্ব অবগত হইত। পৃথিবীতে এমন কোন গুপ্ত ঘটনা ঘটিয়াছে— চিঠি পত্রে যাহার অস্তিত্বের কিছু-না-কিছু আভাস থাকিয়া না যায় ?—