পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রথম পরিচ্ছেদ షిసె(t গভীর রাত্রে চরাচর অন্ধকারে সমাচ্ছন্ন হইলে, নগরের সকল লোক যখন পরিশ্রান্ত দেহে সুগভীর মুখ-সুপ্তিতে নিমগ্ন থাকিত, সেই মধ্য রাত্রেও এজরা সাহেব তাহার শয়ন কক্ষে বসিয়া কেবল অর্থবৃদ্ধির চিস্তায় নিমগ্ন থাকিতেন ; তিনি বলিতেন, ‘আমি যতদিন বাচিব, এই ভাবে সঞ্চয় করিব ; আমার পুত্র যদি আমার ন্যায় সঞ্চয়ী হয়, এবং তাহার পুত্র যদি সেই ভাবে সঞ্চয়ের অভ্যাস রাখে, তাহা হইলে তিন চারি পুরুষের মধ্যেই আমার বংশধরগণ এরূপ বিপুল অর্থের অধিকারী হইবে যে, ভারতের কোনও ধনকুবেরের বংশে তাহার তুলনা পাওয়৷ যাইবে না। Tom পয়ত্রিশ বৎসর বয়সে একজন মহা ধনবান পারসী ভূস্বামীর কন্যার সহিত তাহার বিবাহ হয়। র্তাহার স্ত্রী পিতার একমাত্র কন্যা বলিয়া, বিপুল পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারিণী হইয়াছিলেন । তিনি যেমন রূপবতী সেইরূপ গুণবতী ও সাধবী ছিলেন ; কিন্তু এজরা সাহেব এমন স্ত্রীর প্রতিও অশিষ্ট আচরণে কুষ্ঠিত হইতেন না। বিবাহের কয়েক বৎসর পরে এই যুবতীর গর্ভে এজর সাহেবের একটি পুত্রের জন্ম হয় ; তাহারই নাম বায়রামজি এজরা । বায়রামের বয়স দুই বৎসর পূর্ণ না হইতেই তাহার লক্ষ্মীস্বরূপিণী জননী অকস্মাৎ প্রাণত্যাগ করিলেন । • এমন স্ত্রীর মৃত্যুতেও খরসেটজি এজরাকে কেহ কোনও দিন আক্ষেপ করিতে দেখে নাই ; বরং তাহার ভাব দেখিয়া বোধ হইত, তাহার স্ত্রীর মৃত্যুতে তিনি যেন অনেকটা নিশ্চিস্ত হইয়াছেন । সম্রাস্ত ভূস্বামীর কন্য। eবলিয়া অনেক বিষয়েই র্তাহার ব্যয়বাহুল্য ছিল, এজর সাহেব তাহ।