পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

షివెళి নন্দনে নরক অপব্যয় বলিয় মনে করিতেন ; তাহার গৃহে যেরূপ অশন বসনের ব্যবস্থা ছিল, এজরা-পত্নী কোন দিনই তাহার সহিত সামঞ্জস্য রক্ষা করিয়া চলিতে পারেন নাই। এজন্য এজরা-পত্নীকে অনেক সময় স্বামীর নিকট কটু কথা সহ করিতে হইত ; কিন্তু স্ত্রী পৈতৃক অর্থ ব্যয় করিতেন বলিয়া এজরা সাহেব কোন দিন তাহার স্ত্রীকে আঁটিয়া উঠিতে পারেন নাই ; কিন্তু স্ত্রীর মৃত্যুর পর সেই সকল অনাবশ্বক ব্যয়ভার হইতে তিনি মুক্তিলাভ করিলেন। র্তাহার স্ত্রীর মৃত্যুর অল্পকাল পরে তাহার শ্বশুরের মৃত্যু হইলে, পুত্রের পক্ষ হইতে তিনি শ্বশুরের সম্পত্তিটি লাভ করিলেন। এই সম্পত্তির অধিকারী হইয়া এজরা সাহেবের কল্পনানেত্রে র্তাহার বংশধরগণের ভবিষ্যৎ সৌভাগ্যের চিত্র অধিকতর উজ্জল হইয়া उठेिल ! যাহা হউক, মাতৃহীন শিশুপুত্র বায়রামের প্রতি এজরা সাহেবের কোনও অযত্ন ছিল না ; কিন্তু সাধারণ গৃহস্থগণ পুত্রকন্যাবর্গকে যে ভাবে প্রতিপালন করে, অতুল ঐশ্বৰ্য্যের অধিকারী হইয়াও তিনি সেই পন্থার ব্যতিক্রম করেন নাই ; তিনি বায়রামকে গ্রাম্য বিদ্যালয়ে যৎসামান্য লেখাপড়। শিখাইয়া বিদ্যালয় ত্যাগে বাধ্য করিলেন, এবং গহার ব্যবসায় ও কৃযিকার্য্যের কতক কতক ভার তাহার হস্তে সমর্পণ করিলেন। ষোল বংসর বয়সের সময়, বায়রামজিকে দেখিয়া বাইশ বৎসরের যুৰক বলিয়া বোধ হইত ; তাহার দৈহিক শক্তি তাহার সাহসের অনুরূপ ছিল ; তাহার সুন্দর আকৃতি যে একবার দেখিত, তাহাকেই অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত মুগ্ধভাবে তাহার দিকে চাহিয়া থাকিতে হইত।

  • .