○〉l。 , নন্দলে নরক নিকট প্রকাশ করিৰ ? অামার আর যে দোষই থাক, আমি বিশ্বাসঘাতক বা প্রবঞ্চক নহি।” ওস্তাদ বলিল, “আবার আপনি ভুল বুঝিলেন। আপনি কোন কথা বলিবেন না, তাহা আমি জানি ; কিন্তু আপনি যখন প্রকাশ্যেই হউক আর গোপনেই হউক, আপনার পিতার বিরুদ্ধাচরণে প্রবৃত্ত হইবেন, তখন আপনার পিতা অতি সহজেই বুঝিতে পারিবেন, আপনি অন্যের বুদ্ধিতে পরিচালিত হইতেছেন। আপনি কাহার মতে চলিতেছেন, তাহা খুজিয়া বাহির করিতে র্তাহার একটুও বিলম্ব হইবে না। আমি বলি, এ সকল ফ্যাসাদে আবখ্যক নাই,কোন রকমে চোক কাণ বুজিয়া আপনি আর বছর দুই অপেক্ষা করুন,তাহার পর সাবালক হইলেই আপনি—” ওস্তাদের কথা শেষ হইবার পূৰ্ব্বেই বায়রামজী অধীর ভাবে, তাহার সম্মুখস্থ টেবিলের উপর সজোরে এমন মুষ্ট্যাঘাত করিল যে, টেবিলট পুরাতন হইলে সেই আঘাতে চূর্ণ হইয়া যাইত ! টেবিলের উপর একটি কাচের ফুলদানি ছিল, তাহা মেজেতে পড়িয়া খণ্ড খণ্ড হইয়া গেল ; কিন্তু বায়রামজি তৎপ্রতি দৃকপাত মাত্র না করিয়া সক্রোধে বলিল, “ইহাই যদি তোমার উপদেশ হয় ; তাহা হইলে তোমার উপদেশে চলিধার কোনও আবশ্ব্যক দেখি না।”—বায়রাম চেয়ার ছাড়িয়া উঠিল । Q ওস্তাদ বলিল, “আঃ, ফুলদানিটা একেবারে গুড়া করিয়া ফেলিলেন হুজুর! আপনি এত গরম হইবেন না ; মাথা ঠাণ্ডা করিয়া কাজ করিলে সহজে বিপদে পড়িতে হয় না। আমার কথা যে একেবারেই শেষ হইয়াছে, এরূপ মনে করিবেন না।”
পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩২৪
অবয়ব