পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ \లS్చలి বায়রামজি বাড়ী ফিরিবণমাত্ৰ শুনিতে পাইল, তাহার পিত) কয়েকবার তাহার খোজ করিয়াছেন। একথা শুনিয়া বায়রাম একটু চিন্তিত হইল ; কয়েক দিন পর্য্যন্ত তাহার পিতা তাহার কোন খোজখবর লন নাই, আজ হঠাৎ এত ডাকাডাকি কেন ? তিনি তাহার গুপ্ত ষড়যন্ত্রের সন্ধান পান নাই ত ? সে অত্যন্ত অসচ্ছন্দত বোধ করিতে লাগিল ; জীবনে সে আর কখনও এরূপ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয় নাই । বায়রামজি বুঝিতে পারিল না যে, এই উদ্বেগ তাহার পাপের প্রায়শ্চিত্তের প্রথম সোপান । এই পিতৃদ্রোহ পাপের প্রায়শ্চিত্ত কোথায় গিয়া শেষ হইবে, অদূরদর্শী প্রলুব্ধ বায়রাম তাহা কল্পনাও করিতে পারিল না ।” বায়রামজি পিতার নিকট উপস্থিত হইল । এজর সাহেব অত্যন্ত সহজ স্বরে বলিলেন, "ছুটি পাইয়া আজ কাল তুমি যে খুব বাহিরে বাহিরে ঘুরিতেছ!” পিতা কি তাহার প্রতি সন্দেহ করিয়াছেন ? তাহার মনের ভাব বুঝিতে না পারিয়া বায়রামজি বলিল, “আজ কাল আমি অনেক দূরে দূরে শিকারে যাইতেছি।” এজরা সাহেব বলিলেন, “কিন্তু ফিরিবার সময় ত শুধু হাতেই ফিরিয়৷ থাক যাহা হউক, তোমাকে কি জন্য ডাকিয়াছি শোন । আজ সন্ধ্যার সময় আমার একটি বন্ধু এখানে আসিবেন, তাহার আহারাদির বন্দোবস্ত করিতে হইবে ; আজ তোমার অন্ততঃ একটা খরগোসও শিকার করিয়া আন চাই ।” বায়রামজি কৌতুহলের সহিত বলিল, "এপর্য্যন্ত ত আমাদের