পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

HI8 নন্দনে নরক বায়রামজি বলিল, “ইহার কারণ পৃথিবীতে এপর্য্যন্ত আমি কাহার ও নিকট সদয় ব্যবহার পাই নাই, কেবল আপনিই আমার সম্মুখে করুণাময়ী মূৰ্ত্তিতে আবিভূত হইয়াছেন ; তাই যে সকল কথা আমার হৃদয়ের নিভূত অন্তরালে গুপ্ত ছিল, তাহা আপনার নিকট প্রকাশ করিতে সাহসী হইয়াছি।” আমিন বলিল, “আমি অঙ্গীকার করিয়াছিলাম, তাই আজ এখানে আসিয়াছি ; আমাকে এখনই কয়েকটি রোগীণীর পরিচর্য্যায় যাইতে হইবে।” বায়রাম ব্যাকুলভাবে বলিল, “কিন্তু আর কি আপনার সহিত সাক্ষাৎ হইবে না ? জীবনে ইহাই কি শেষ দেখা ?” আমিন মধুর স্বরে বলিল, “না ইহাই শেষ দেখা নহে ; এইখানেই আবার দেখা হইবে।” সে দিন উভয়ে পরম্পরের নিকট বিদায় গ্রহণ করিল। ইহার পর প্রায় প্রতিদিন অপরাহ্নেই এই স্থানে যুবক যুবতীর সাক্ষাৎ হইত। সাক্ষাতের সময় অত্যন্ত অল্প হইলেও, সেই সময়ের মধ্যে যে দুই চারিটি কথা হইত, তাহাতেই আমিনা বায়রামের গভীর প্রেমের পরিচয় পাইত। কিন্তু আমিন বায়রামকে ধরিতেই আসিয়াছিল ; বুদ্ধিমতী আমিনা কোন মতে ধরা দিত না । আমিন। বায়রামের হস্তে আত্মসমর্পণে সন্মত কি না, সে কথা একদিনও তাহার মুখে শুনিতে না পাইয়া বায়রামের হৃদয় অত্যন্ত ব্যাকুল হইয়। উঠিল । একদিন আমিনা বায়রামজির নিকট বিদায় লইয়া ভিন্ন পল্লীতে একটি বৃদ্ধ রোগিণীর পরিচর্য্যা করিতে গেল। এই রোগীণীর নাম ফুলিয়ার মা ।