পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ @8ఏ هاني- کي- ہی م= বায়রামজি বলিলেন, “যতদিন হইতে পিতা পুত্রের মনের স্বাধীনতা অন্যায় করিয়া হরণে উদ্যত হইয়াছেন।” এজর সাহেব দক্ষিণ হস্ত মুষ্টিবদ্ধ করিয়া, তাহ৷ সবেগে উদ্ধত করিলেন ; সেই মুষ্টি অনায়াসে বায়রামের মস্তক চূর্ণ করিতে পারিত, কিন্তু মস্তকের উপর সেই বদ্ধমুষ্টি উদ্যত দেখিয়াও তিনি সঙ্কুচিত ব৷ পদমাত্র বিচলিত হইলেন না ; দুইহাত বুকে রাখিয়া উন্নত মস্তকে দণ্ডায়মান রহিলেন । কিন্তু এজরা সাহেব বায়রামজির দেহ স্পর্শ করিলেন না; তিনি হাত টানিয়া লইয়। কম্পিত স্বরে বলিলেন, “তোমাকে প্রহার করিয়। আমি এজরা বংশের অপমান করিব না, কিন্তু তোমার অবাধ্যতার উপযুক্ত দণ্ড দান করিব।”—তাহার পর তিনি বায়রামের হাত ধরিয়া টানিয়া লইয়া চলিলেন ; তাহাকে একটি কক্ষের মধ্যে লইয়া গিয়া বলিলেন, “এই কক্ষে তুমি বন্দী, তোমাকে চব্বিশ ঘণ্টা সময় দিলাম, রেডিমণির কণ্ঠাকে বিবাহ করিবার জন্য প্রস্তুত হও।” বায়রামজি বলিলেন, “আপনি সহস্ৰ দিন সময় দিলেও আমার সংকল্প বিচলিত হইবার নহে ।” এজরা সাহেব সে কথায় কর্ণপাত না করিয়া, বাহির হইতে সশব্দে স্বার বদ্ধ করিলেন, এবং তাহার বহুদিনের পুরাতন বিশ্বস্ত সর্দার খানসামা ঈরাণীকে ডাকিয়া বলিলেন, "আমি এই কক্ষে বায়রামকে বন্দী করিলাম ; তুমি এই ঘরের জিম্বায় থাকিলে। বায়রাম পলাইবার চেষ্টা করিলে, তাহাকে লাধিয়া রাখিবে ; যদি একাকী অসমর্থ হও, আমাকে ডাকিবে ।”