পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম পরিচ্ছেদ ©©Ꮔ ওস্তাদের গুপ্তচর চারিদিকে ঘুরিত ; বায়রাম পিতৃগৃহে বন্দী হইয়াছেন, এ সংবাদ পুৰ্ব্বরাত্রেই তাহার কর্ণগোচর হইয়াছিল। আমিনার নিকট এই সংবাদ পাঠাইবার জন্য সে অত্যন্ত ব্যস্ত হইলেও সংবাদ পাঠাইবার সুবিধা করিয়া উঠিতে পারে নাই ; সে বুঝিয়াছিল, প্রভাতে প্রণয়ীযুগলের মিলন স্থলে আমিন নিশ্চয়ই উপস্থিত হইবে ; সুতরাং পূৰ্ব্বাহ্নেই আমিনাকে সাবধান করিবার জন্য সে ইক্ষু ক্ষেত্রে উপস্থিত হইয়াছিল। কিন্তু বৃদ্ধ তাহার গমনের পূৰ্ব্বেই সেখানে গিয়াছিলেন , তাহার উদ্দেশু সিদ্ধ না হওয়ায়, সে বৃক্ষান্তরালে প্রতীক্ষা করিতেছিল । 矚 আমিন প্রস্থান করিলে, এজর সাহেব তাহার অট্টালিকায় ফিরিয়া আসিলেন । এজর সাহেব গুহে প্রত্যাগমন করিবণমাত্র একজন ভূত্য র্তাহাকে জানাইল, বায়রামজিকে কক্ষমধ্যে বন্দী করিয় রাখা অত্যন্ত কঠিন হইয়। উঠিয়াছে ; তিনি বাহিরে আসিবার চেষ্টা করায় ঈরাণী অন্যান্ত ভূত্যের সাহায্যে তাহাকে আটকাইয়। রাখিতে যায়, কিন্তু তিনি পদাঘাতে তাহাদের সকলকেই জখম করিয়াছেন । এজরা সাহেব পুত্রের সহিত সাক্ষাৎ করিতে গিয় দেখিলেন, তিনি তাহাকে যে কক্ষে বন্দী করিয়াছিলেন সেই কক্ষের জিনিস পত্র সমস্তই চূর্ণ হইয়াছে, অনেক জিনিস বিশৃঙ্খলভাবে ইতস্তত বিক্ষিপ্ত রহিয়াছে ; এবং বায়রামজি দেওয়ালের দিকে মুখ ফিরাইয়া বসিয়া আছেন। এজরা সাহেব ভৃত্যদের বিদায় দিয়৷ গম্ভীর স্বরে ডাকিলেন,"বায়রাম, শোন ।”