পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ ●ፃ: তাহাও ঈরাণীর দৃষ্টি অতিক্রম করে নাই ; সে সুচতুর ও বহুদশী ভৃত্য, এ সকল ঘটনার মধ্যে সে কার্য্যকারণ সম্বন্ধ নির্ণয় করিতে লাগিল । এজরা সাহেবের সংজ্ঞাহীন দেহ কয়েক জন ভূত্যের সাহায্যে পাশ্বস্থ কক্ষের পালঙ্কে রাখিয়া সে একাকী পূৰ্ব্বোক্ত কক্ষে ফিরিয়া আসিল; কিন্তু কক্ষের বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী পরীক্ষা করিয়া কিছুই স্থির করিতে পারিল ন ; জলের কুঁজাট। নাড়িয়া দেখিল, তাহাতে অল্প পরিমাণ জল আছে, সে তাহা বস্ত্রাবৃত করিয়া নিজের ঘরে লইয়া গিয়া লুকাইয়া রাখিল । এজর সাহেবের পরিচর্য্যায় লোক নিযুক্ত করিয়া ও ডাক্তারের নিকট লোক পাঠাইয়া ঈরাণী বায়রামজিকে খুজিতে বাহির হইল ; কিন্তু কোথাও তাহার সন্ধান পাইল না । হতাশ হইয়া অগত্যা সে ফিরিয়৷ আসিতেছে, এমন সময় পথিপ্রান্তে একটি বৃক্ষমূলে বায়রামকে শায়িত দেখিয় তাহাকে ধরিয়া উঠাইল। বায়রামজি প্রথমে বাড়ী ফিরিতে সম্মত হইলেন না, বলিলেন, “আমি বাড়ী যাইব না, বাড়ীতে আর এ মুখ দেখাইব না ।” ঈরাণী বলিল, “আপনার পিতার অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়, এ অবস্থায় আপনি বাড়ী নাই শুনিলে, লোকে আপনার বিরুদ্ধে নানা কথা বলিবে, নানারূপ সন্দেহু করিবে ; সুতরাং এখন আপনার বাড়ী ফিরিয়া পিতার সুশ্রষ। কার্য্যে প্রবৃত্ত হওয়াই কৰ্ত্তব্য । আপনাদের পারিবারিক বিভ্রাটে কোনও কথা যাহাতে সাধারণের কর্ণগোচর না হয়, তাহ আপনাকে করিতেই হইবে।” বায়রামজি বিশ্বস্ত পরিচারকের যুক্তির সারবত্ত্বা বুঝিতে পারিয়া আর