পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ లవ్స এপাশ ওপাশ করিতে করিতে হঠাৎ উঠিয়া বসিলেন, সম্মুখে ঈরাণীকে দেখিয়া তাহাকে চিনিতে পারিলেন, বলিলেন, “শীঘ্ৰ বায়রামকে ডাক্‌ ৷” ঈরাণী সবিক্ষয়ে দেখিল, এজরা সাহেবের জিহবার জড়তা অন্তৰ্হিত হইয়াছে, চক্ষুর স্বাভাবিক দীপ্তি ফিরিয়া আসিয়াছে ; তাহার লুপ্ত জ্ঞানের সঞ্চার হইয়াছে ! বায়রামজি দ্রুতপদে পিতৃসন্নিধানে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, তাহার পিতার বাহ্যজ্ঞান ফিরিয়া আসিয়াছে ; তিনি পিতার পদতলে নিপতিত হইলেন, উদ্বেলিত স্বরে বলিলেন, “বাবা, আমি আপনার নিকট অত্যন্ত অপরাধী, আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত নাই ; আপনার নিৰ্ব্বোধ পুত্রকে আপনি ক্ষমা করুন ।" এজর সাহেব উভয় বাহু প্রসারিত করিয়া পুলকে টানিয়া ক্রোড়ের নিকট তুলিলেন, এবং সংযত স্বরে বলিলেন, “বংস, আমি ঔদ্ধত্যের বশবর্তী হইয়। তোমাকে যে অন্যায় পীড়ন করিয়াছিলাম, পরমেশ্বর আমাকে তাহার শাস্তি দিয়াছেন, আমি তোমাকে ক্ষমা করিলাম।” এবার বায়রামজি ব্যথিত। বালিকার ন্যায় উচ্চৈঃস্বরে কাদিয়া উঠিলেন। এজরা সাহেব বলিলেন, “বৎস, আমি আমার অভিপ্রায় পরিত্যাগ করিলাম । রেডিমণির কন্যাকে বিবাহ করিবার জন্য আর তোমাকে অনুরোধ করিব না ।” বায়রামজি আত্মসংবরণ করিয়া বলিলেন, “বাবা, আমি আপনার অভিপ্রায়ানুসারেই কয়েকদিন পূৰ্ব্বে রেডিমণি সাহেবের কণ্ঠাকে বিবাহ করিয়াছি।”