পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ 3 c > প্রদত্ত ঋণের টাকা আদায়ের চেষ্টা দেখিতে লাগিল, কিন্তু সে হঠাৎ বায়রামজির সহিত সাক্ষাৎ করিতে সাহসী হইল না ; সুতরাং সে স্থির করিল, আমিনার সাহায্যেই কার্য্যসিদ্ধি করিতে হইবে । সে জানিত না যে আমিনার সহিত বায়রামজির সম্বন্ধ বিষময় হইয়া উঠিয়াছে। অামিন একদিন সায়ংকালে একাকিনী নদী তীরে ভ্রমণ করিতেছিলু, এমন সময় ওস্তাদ একটি ঝোপের অন্তরাল হইতে তাহার সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল । অামিন অবজ্ঞাভরে জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি কি চাও ।” ওস্তাদ বলিল, “আমার সেই বিষের শিশিট । বাই সাহেব, আপনি বড় বুদ্ধিমতী, আপনি ফাকি দিয়া আমার বিষের শিশিট। হস্তগত করিয়াছেন, এবং আপনার চেষ্টাতেই সেই বিষ প্রয়োগে একজনের প্রাণ গিয়াছে। সে শিশি আমার, এবং তামার নিকট হইতে আপনি তাহা পাইয়াছেন, ইহা যদি কোনরূপে প্রমাণ হয়, তাহা হইলে আমাকে ফঁাসীতে ঝুলিতে হইবে, বিনা দোষে আমার প্রাণ যাইবে ; দুশ্চিন্তায় আমার আহার নিদ্রা বন্ধ হইয়াছে, অসুশোচনায় আমি দিব। রাত্রি দগ্ধ হইতেছি, এদেশে আমার আর এক মুহূৰ্ত্ত থাকিবার ইচ্ছা নাই, আমি স্থির করিয়াছি শীঘ্রই দেশত্যাগী হইব।” আমিন বলিল, “এ সকল কথা আমাকে বলিয়া লাভ কি ? তুমি ইচ্ছা করিলেই অনায়াসে যাইতে পার, কে তোমাকে আটুকাইয়। রাখিয়াছে ?” ওস্তাদ বলিল, “না, ইচ্ছা করিলেই আমি যাইতে পারি না, সে পথে ২৬