পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ο Ψ) নন্দনে নরক আমিনা সেই নিস্তব্ধ নিশীথে অন্ধকারের মধ্যে মুখ তুলিয়া বায়রামের মুখের দিকে চাহিয়া বলিল, “তবে বিদায় বায়রাম । ভবিষ্যতে আর আমাদের সাক্ষাৎ হইবে না। তুমি বোধ হয় শুনিয়াছ, আমার পিতা মাতা আমার বিবাহের সম্বন্ধ স্থির করিয়াছেন, শীঘ্রই আমার বিবাহ হইবে । আমি এই প্রস্তাবে আপত্তি করি নাই, এখন আর আপত্তির কোন দরকারও দেখি না ; আশা করি পরমেশ্বর তোমাকে চিরমুখী করিবেন।” 鳴 বায়রামজি উত্তেজিত স্বরে বলিলেন, “পরমেশ্বর আমাকে সুখী করিবেন ? ইহা অসম্ভব ! তুমি কি মনে কর ইচ্ছা করিলেই মানুষ সুখী হইতে পারে ? না, সুখ এত সহজ লভ্য নহে ; আমার আর সুখের কামনা নাই। বরং যদি এরূপ কোনও কৌশল তোমার জানা থাকে, যাহার সাহায্যে স্মৃতি বিলুপ্ত হইতে পারে, তীব্র অনুশোচনার হাত হইতে নিস্কৃতিলাভ করা যায়, তবে সে কৌশল কি আমাকে বলিয়। যাও । তোমার স্মৃতি কোন কালে আমার মন হইতে বিসর্জন দিতে পারিব না, কিন্তু এ সকল কথা আলোচনা করিয়া আর লাভ নাই ; অামি চলিলাম।” পরদিন বায়রামজি ওস্তাদের সহিত সাক্ষাৎ করিলেন । সেই দিন অপরাহ কালে বায়রামজির বৃদ্ধ ভূত্য ঈরাণী আমিনাকে গোল মোহর করা একখানা প্রকাণ্ড লেফাপা দিয়া গেল ; আমিন তাহ খুলিয়া দেখিল, সে এ পর্য্যন্ত বায়রামজিকে যে সকল প্রেমপত্র লিখিয়াছিল, বায়রামজি সেই সকল পত্র ফেরৎ দিয়াছেন ; এতদ্ভিন্ন ওস্তাদ যে দুইখানি পত্রের জন্য টাকার দাবী করিয়াছিল, আমিন। সে পত্ৰ দুখানিও