পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শ পরিচ্ছেদ 8ණූ அ டி- ம் ஆக ూడా తోsూulూ...ూ په کار پيل এলিজা বলিলেন,“থাকিতে পারে, কিন্তু তোমারও সৰ্ব্বনাশ করিবার আমার অধিকার নাই ; তোমার প্রতি আমার প্রেম সেরূপ স্বার্থপরতা ও হীনতাপূর্ণ নহে। আজ তুমি আমাকে তোমার সঙ্গে কুলত্যাগ করিয়া যাইতে বলিতেছ বটে; কিন্তু দুশ্চারিণী রমণীকে দীর্ঘকাল কে আদর যত্ন করিতে পারে ? না, তোমার গলগ্ৰহ হইবার আমার ইচ্ছা নাই ।” সাপুরজি বলিলেন, “ইহার অর্থ, আমার প্রতি তোমার বিশ্বাস নাই; কিন্তু তুমি আমাকে বিশ্বাস করিলে কথনও প্রতারিত হইবে না ; তাই বলিতেছি, চল দেশ ত্যাগ করিয়া যাই ।” P এলিজা বলিলেন, “অসম্ভব, আমার পক্ষে ইহা সম্পূর্ণ অসম্ভব।” সাপুরজি বলিলেন, “অসম্ভব কেন ?” এলিজা অশ্রপুর্ণ নেত্রে উত্তর করিলেন, “তুমি সে কথা জান না বলিয়াই এত পীড়াপীড়ি করিতেছ।” সাপুরজি আর কোনও কথা না বলিয়। আর এক পদ অগ্রসর হইয়া বামহস্তে এলিজার কণ্ঠলিঙ্গন করিলেন । ঠিক সেই মুহূৰ্ত্তে সেই কক্ষের দ্বার খুলিয়া গেল, বায়রামজি ক্ৰোধ-কম্পিত দেহে স্বারেদেশে দণ্ডায়মান হইয়। বজ্র নির্ধোষে বলিলেন, "এলিজা, এজরা বংশের কুলবধুর পক্ষে এ অতি উত্তম কাৰ্য্য!”—এলিজা উজ্জল দীপালোকে অদূরে স্বামীকে দণ্ডায়মান দেখিয়া শিহরিয়া উঠিলেন ; তাহার বোধ হইল, জগৎ অন্ধকারময়, ব্ৰহ্মাণ্ড যেন প্রবল বেগে ঘুরিতেছে! অন্যুট আৰ্ত্তনাদ করিয়া তিনি সেই স্থানে মূৰ্ছিত হইয়া পড়িলেন । সাপুরজি চক্ষুর নিমিষে তাহার সঙ্কটজনক অবস্থার কথা বুঝিতে পারিলেন, কিন্তু তখন আর চিন্তা করিবার অবসর ছিল না ; তিনি