পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শ পরিচ্ছেদ 8 ES সম্মুখে কৃষ্ণবর্ণ মৃত্যুতরঙ্গ সবেগে আবর্তিত হইতেছে দেখিয়াও সাপুরজি বিন্দুমাত্র বিচলিত হইলেন না ; বায়রামজির দিকে চাহিয়া অবিচলিত স্বরে বলিলেন, "কেন অনর্থক বিলম্ব করিতেছ ? গুলি কর ।” বায়রামজি বন্দুক নামাইয়া বজিলেন, “না এখানে তোমাকে গুলি করিয়া মারা হইবে না, তুমি যে তস্করেব ন্যায় আমার স্ত্রীর সতীত্ব-রক্ত অপহরণ করিতে আসিয়া আমার হস্তে প্রাণ বিসর্জন করিয়াছ, এ কথা আমার দাস দাসীদের জামিতে দিব না ; তদ্ভিন্ন, নিরস্ত্র শক্রকে কাপুরুষের ন্যায় হঠাৎ আক্রমণ করিয়া বধ করিবারও আমার ইচ্ছা নাই।“ সাপুরজি বলিলেন, “এখন তোমার অভিপ্রায় কি ?” বায়রামজি বলিলেন, “এখান হইতে মুক্ত প্রাস্তরে চল, তরবারি লইয়। আমার সহিত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হও । কেবল মাত্র জয় পরাজয়ে এ যুদ্ধের মীমাংসা হইবে না ; যে জয়লাভ করিবে, সে তাহার প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রাণবধ করিবে । এ যুদ্ধে পরাজয়ের অর্থ মৃত্যু।" সাপুরজি বলিলেন, "যুদ্ধে প্রস্তুত আছি।” বায়রামজি বলিলেন, “উত্তম, আমার গৃহে একাধিক তরবারি আছে ; তাহার একখানি তোমাকে দিতেছি, আর একখানি আমি লইতেছি। তরবারি হন্তে ঐ বাগানের মধ্যে আর্মর যুদ্ধ করিয়া পরম্পরকে নিহত করিবার চেষ্টা করিব । আমার এই বাগানের এক প্রান্তে খানিকট খোলা যায়গা আছে ; পূৰ্ব্বে সেখামে একটা গৰ্ত্ত ছিল, আবর্জন দ্বারা সে গর্তটি পূর্ণ করা গিয়াছে। সেইখানে আমরা সহজেই