পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ 886. তাহার উপর কতকগুলি তৃণ ও শুষ্কপত্র ছড়াইয়। রাখিয়া শোণিতসিক্ত তরবারিখামি তুলিয়া লইলেন। অনন্তর বৃক্ষশাখা হইতে লণ্ঠনটি খুলিতে যাইবেন, এমন সময় সেই আলোকে অদূরস্থ আর একটি বৃক্ষের অন্তরালে যেন কাহার মাথা দেখিতে পাইলেন । বায়রামজি এক লম্ফে সেই বৃক্ষের সন্নিকটে আসিলেন। বৃক্ষের অন্তরালে একটি রমণী দণ্ডায়মান ছিল ; সে দেখিল আর পলাইবার উপায় নাই, ক্ষিপ্তপ্রায় বায়রামজি শোণিতরঞ্জিত তরবারি-হস্তে তাহার উপর আসিয়া পড়িয়াছেন । সে ভয়ে আৰ্ত্তনাদ করিয়া উঠিল, বলিল, “আমাকে রক্ষা করুন, অামাকে মারিবেন না ।” বায়রামজি সেই রমণীকে কেশাকর্ষণ করিয়া আলোকের নিকট লইয়া আসিলেন, চিনিতে পারিলেন, এই রমণী তাহারই একটি দাসী, প্রভাতে ও সন্ধ্যাকালে বাড়ী ও বাগানের পথ পরিষ্কার রাখাই তাহার কাৰ্য্য। এই দাসীর নাম যমুনা। যমুনার বয়স বিশ বাইশ বৎসর ; যৌবন থাকিলেও তাহার রূপ ছিল না, তাহার উপর তাহার কেশ রুক্ষ, পরিধেয় বস্ত্র মলিন, তাহার শরীরে এক ইঞ্চি ময়লা জমিয় তাহাকে আরও কদাকার করিয়া তুলিয়াছিল ! বায়রামজি কর্কশ স্বরে তাহাকে বলিলেন, “আজ রাত্রে দাসদাসীরা সকলেই ছুটী পাইয়াছে, তবে তুই কেন এখানে আসিয়াছিলি বল।” যমুনা বলিল, “আমার ধোয়। কাপড় নাই, আমি সেই জন্ত বিবাহ দেখিতে ঘাই নাই ।” 阿 বায়রামজি বলিলেন, "তাহ বুঝিলাম, কিন্তু এতরাত্রে তুই ঘর ছাড়িয়া বাগানে মরিতে আসিয়াছিলি কেন ?”