পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টাদশ পরিচ্ছেদ 8Q○ আকৃতির এমন পরিবর্তন হইয়াছিল যে, এক রাত্রেই যেন তাহার বয়স দশ বৎসর বাড়িয়াছিল । তাহার তাবাস্তর লক্ষ্য করিয়া একজন ভূত্য দাদরে বায়রামজির নিকট সংবাদ লইয়া গেল, তাহার প্রভুপী অত্যন্ত পীড়িত হইয়াছেন। বায়রামজি অনতিবিলম্বে বোম্বাইয়ে উপস্থিত হইয়া দেখিলেন, এলিজা দারুণজরে আক্রান্ত হইয়াছেন। বায়রামজি সুবিজ্ঞ চিকিৎসকের হাতে এলিজার চিকিৎসার ভার দিলেন ; জ্বরের বেগ ক্রমে বাড়িতে লাগিল, সঙ্গে সঙ্গে বিকার উপস্থিত হইল। বিকারঘোরে এলিজার প্রলাপ আরম্ভ হইল ; প্রলাপে পাছে তিনি কোনও গুপ্তকথা প্রকাশ করেন, এই ভয়ে বায়রাত্মজি জাসদাসীগণকে সেক্ট কক্ষে প্রবেশ করিতে দিলেন না, স্বয়ং একাকী এলিজার রোগ-শয্যাপ্রাস্তে বসিয়া তাহার পরিচর্য্য করিতে লাগিলেন ; গুপ্তকথা প্রকাশের ভয়ে অত্যন্ত দুশ্চিন্তাষ তিনি কালযাপন করিতে লাগিলেন । সেইদিন অপরাহ্নে ঈরাণী গোপনে তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিয়া তাহাকে বলিল, "যমুনাকে পাচ হাজার টাকা দিয়া তাহার পৈতৃক বাসস্থান সিধপুরে পাঠাইয়াছি ; যাহাতে সে সেখানে স্থায়ীরূপে বসবাস করে, তাহার বন্দোবস্ত করিয়াছি। এতদ্ভিন্ন ইতিমধ্যে আমি একজন লোক ঠিক করিয়াছি, সাপুরজির পত্র লইয়া সে আজই আমেরিকায় যাত্রা করিবে ; একখানি পত্র এডেন বন্দর হইতে, ও অন্য খানি জাপান হইতে ডাকে দিবার কথা আছে । এই কার্য্যের জন্য তাহাকে যেরূপ পারিশ্রমিক দেওয়া হইয়াছে, তাহাতে সহজেই কাৰ্য্যসিদ্ধি হুইবে বলিয়৷ আশা করি।”