পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8&)ა নমদনে নরক ডাক্তার লালুভাই বলিলেন, “এই উপন্যাসটিকে সত্য বলিয়৷ প্রতিপন্ন করিতে হইলে, কিছু কিছু প্রমাণের আবশ্যক । আমিনার চিঠিপত্রগুলি ব্যতীত আর কোন প্রমাণ সংগৃহীত হইতে পারে ?” জেমসেটুজি বলিলেন, “বায়রামজির সহিত মারোয়ানজি সাপুরজির যে যুদ্ধ হইয়াছিল, ও তাহার যে ফল হইয়াছিল, যমুনা তাহার সাক্ষী আছে; যমুনা উৎকোচ স্বরূপ বায়রামজির নিকটে যে টাকা পাইয়াছিল, অল্প দিনের মধ্যেই সে তাহা নষ্ট করিয়া ফেলে ; নিরুপায় হইয়া সে কিছু দিন পরে, বোম্বাইয়ে প্রত্যাগমন করে, এবং বায়রামজির পুনৰ্ব্বার সাহায্য প্রার্থনা করিলে বায়রামজি গুপ্ত কথা প্রকাশের ভঞ্জে । পুনৰ্ব্বার তাহাকে অনেক টাক প্রদান করেন। আমার গুপ্তচর সন্ধান | লইয়া জানিতে পারে, আবখ্যক হইলেই যমুনা বায়রামজির নিকট টাক পায়। বায়রামজি যখন-তখন তাহাকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ সাহাষ্য কেন করেন, এ রহস্ত ভেদ করিতে না পারিয়া আমার গুপ্তচর একদিন যমুনাকে মদের নেশায় উন্মত্ত করিয়া সকল কথা বাহির করিয়া লয় । কিন্তু এখনও আমরা সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত হইতে পারি নাই ; যমুনা এখনও এই সহরেই আছে ; চাকরীর জন্য সে আমার অফিসে মধ্যে মধ্যে উমেদারি করিতে আসিত । সে যদি কোন দিন বায়রামজির নিকট উপস্থিত হইয়া,র্তাহার পারিবারিক গুপ্ত রহস্ত প্রকাশিত হইয়াছে বলিয়৷ তাহাকে সাবধান করিয়া থাকে, তাহা হইলে, আমাদের কার্য্যোদ্ধারে অনেক বিলম্ব হইবে ; কিন্তু ভয়ের বিশেষ কারণ মাই । বায়রামজি ও আমিন উভয়েই এখন আমাদের মুঠার মধ্যে আসিয়া পড়িয়াছে ; বায়রামজির বাগানের যে অংশে মারোয়ানজি সাপুরজির শবদেহ