পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৪৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একবিংশতি পরিচ্ছেদ 8b-S নওরোজি একবার বক্র দৃষ্টিতে পেষ্টনজির আপাদ মস্তক দেখিয়া লইলেন ; এমন ভাবে দেখিলেন যে, বিশ বৎসর পরেও তিনি তাহার অবিকৃত ছবি অণকিতে পারিতেন। পেষ্টনজির ক্ষুদ্র ও চঞ্চল চক্ষু দু’টি দেখিয়াই বুঝিতে পারিলেন, সৰ্ব্বদাই যেন তাহার মনে কি একটা অনিশ্চিত আতঙ্ক বর্তমান । তিনি আরও লক্ষ্য করিলেন যে, ক্রমাগত মদ্য পানে, রাত্রি জাগরণে, উত্তেজনাজনক বিবিধ বাসনে, ও অপরিমিত ইন্দ্র্যি পরায়ণতায় সে অকালপক্ষ হইয়া উঠিয়াছে। জাহাঙ্গীরজির সহিত পেষ্টনজি সাপুরজির দৃষ্টি বিনিময় হইবামাত্র, পেষ্টনজি এক লঙ্কে জাহাঙ্গীজির সম্মুখে আসিয়া তাহার দুই হাত ধরিয়া সজোরে আন্দোলিত করিল, তারপর সহাস্যে বলিল, “কেমন আছ ইয়ার ? অনেক দিন তোমার সঙ্গে দেখা নাই ।” জাহাঙ্গীরজি বলিল “দেখিতেছ এখনও মরি নাই ; বুড়ে বয়সে । তোমার স্ফূৰ্ত্তি কিন্তু দিন দিন বাড়িতেছে!” পেষ্টনজি সে কথায় কর্ণপাত না করিয়া, আদমজিকে নিম্ন স্বরে বলিল, “তাহা হইলে আর কোনও গোল নাই, তুমি যত শীঘ্র পার মাণিকজি ফ্রামজি ও জেমসেটুজির সহিত সাক্ষাৎ করিবে ; অস্থাই দেখা করিতে পারিলে ভাল হয় ।” এই কথা নওরোজির কর্ণে প্রবেশ করিবামাত্র, তিনি চমকিয়া উঠিলেন ; তিনি মাণিকজি ফ্রামজি ও জেমসেটুজির কিছু কিছু পরিচয় পূর্বেই পাইয়াছিলেন ; তাহার সন্দেহ হইল, হয়ত ইহারাও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে । তাহার হৃদয় বিবিধ চিস্তায় আচ্ছন্ন হইবে । আদমজি বলিল, "আজ সকালে হীরাজি আমার কাছে আসিয়াছিল,