দ্বাবিংশ পরিচ্ছেদ শেয়ানে শেয়ানে কোলাকুলি পথে আসিয়া নওরোজি জাহাঙ্গীরজিকে বলিলেন, “আদমজির মনে নিশ্চয়ই কোনও দুরভিসন্ধি আছে, সে বলিল, হ্যাগুনোট মতিওয়ালার কাছে বিক্রয় করিয়াছে, কথাটা সত্য কি না জানা আবশ্যক।” জাহাঙ্গীরজি বলিল, “তাহা হইলে চল, মতিওয়ালার দোকানে একবার যাওয়া যাক ৷” উভয়ে মতিওয়ালার দোকানে উপস্থিত হইয়া শুনিলেন, মতিওয়াল অন্য লোকের সহিত কথাবাৰ্ত্তায় ব্যস্ত আছে ; অগত্য র্তাহারা সেই দোরুণনের মধ্যেই ঘুরিতে লাগিলেন। সে সময় কয়েকটি সন্ত্রান্ত পারসী মহিলা দোকানের বিভিন্ন অংশে হীরক-রত্নাদি খচিত অলঙ্কার দেখিতেছিলেন । রমণীগণের মধ্যে রমলা বাই সাহেবাকে দেখিয়া নওরোজির বিশ্বরের সীমা রহিল না ; মতিওয়াল ইতিপূৰ্ব্বে বিলের টাকার জন্য । তাহার সহিত যেরূপ ব্যবহার করিয়াছিল, তাহা তাহার অজ্ঞাত ছিল না ; তিনি রমলা বাইয়ের সহিত সেখানে সাক্ষাৎ করিবেন কি না, ইতস্ততঃ করিতে লাগিলেন । কিন্তু রমলা বাই হঠাৎ পশ্চাতে চাহিবামাত্র নওরোজির সহিত তাহার দৃষ্টি বিনিময় হইল, র্তাহার মুখ লজ্জায় আরক্তিম হইয়া উঠিল ; তিনি কষ্টে আত্ম সংবরণ করিয়া দুই এক পদ