পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৫০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োবিংশ পরিচ্ছেদ 6 c > এই পত্র পাইয়া আমিনার সকল আশা নিষ্ণুল হইল ; তিনি একান্ত মনে পরমেশ্বরের নিকট মার্জনা ভিক্ষা করিতে লাগিলেন ; তিনি বুঝিলেন, তাহার স্বামীর নিকট এ সকল কথা প্রকাশ না করিলে আর উপায় मॉड्रे । অবশেষে একদিন সন্ধ্যাকালে, তাহার স্বামীর নিকট উপস্থিত হইয়া চুরি সম্বন্ধে সকল কথা প্রকাশ করিমোন ; অবশ্য, আপনাকে বাচাইয়া যত কথা বলা যাইতে পারে, তাহাই তিনি বলিলেন ; কিন্তু বুদ্ধিমান মেট সাহেব আমিনার নিকট যতটুকু শুনিলেন, তাহাতেই প্রকৃত রহস্য কতক কতক বুঝিতে পারিলেন । মেট। সাহেব সেইদিন সৰ্ব্ব প্রথম পেষ্টনজি সাপুরজির জ্যেষ্ঠ সহোদর মারোয়ানঙ্গি সাপুরজির আকস্মিক অন্তৰ্দ্ধানের প্রকৃত কারণ জানিতে পারিলেন ; এবং অমিলাই যে বুদ্ধ এজরা সাহেবের মৃত্যুর কারণ, তাহী ও ঝিতে পারিলেন । সকল কথা শুনিয়া মেটা সাহেব অনেক ক্ষণ পর্য্যস্ত স্তস্থিত ভাবে বসিয়া রহিলেন, তাহার কথা কহিবার শক্তি পৰ্য্যস্ত যেন বিলুপ্ত হইল ; তাহার হৃদয়ের মধ্যে প্রবল ঝটিকা বহিতে লাগিল। তাহার স্ত্রী সামিন কলঙ্কিনী ও অবিশ্বাসিনী বলিয়। অনেক বার তাহার সন্দেহ হইয়াছিল ; কিন্তু আমিনা যে একটি মিৰ্ব্বোধ যুবককে পিতৃহত্যায় উত্তেজিত করিয়াছিলেন, ও আর একটি যুবকের অকাল মৃত্যুর কারণ হইয়াছিলেন, তাহা তিনি পূৰ্ব্বে একবারও কল্পনা করিতে পারেন নাই। তিনি আরও বুঝিলেন, আমিনা বিবাহের পুর্বেই ষে অন্যের প্রতি অনুরাগিণী হইয়াছিলেন, এমন নহে ; বিবাহের পরও তিনি স্বামীর প্রতি কৰ্ত্তব্য বিস্কৃত হইয়া তাহার প্রথম যৌবনের প্রণয়ীর প্রতি আসক্ত ছিলেন।