পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেজানজি চিন্তা করিয়া বলিল, “আপনি আমাকে বড়ই সঙ্কটে ফেলিলেন, দেখিতেছি ; পূৰ্ব্বে এত্তেলা না দিয়া কোন বাহিরের লোকের র্তাহার সম্মুখে যাইবার উপায় নাই । আমি খবর না দিয়া আপনাকে র্তাহার কাছে লইয়া যাইলে তিনি মহা অনর্থ ঘটাইয়া বসিবেন । যাহাহউক, আমি যখন এ চাকরী ছাড়িয়া দিব স্থির করিয়াছি, তখন আর আমার ভয় কি ? চলুন, আপনাকে লইয়া যাইতেছি । কিন্তু এবার অামাকে একটা ভাল চাকরী যোগাড় করিয়া দিতে হইবে, আমি এখানে আর বেশী দিন থাকিতেছি না ।” বেজানজি জেমসেটুজিকে সঙ্গে লইয়া সার কাসে টজি মেটার অট্টালিকায় প্রবেশ করিল ; জেমসেটুজি দ্বারবানগণের অপরিচিত হইলেও র্তাহাকে সর্দার খানসামার সঙ্গে যাইতে দেখিয়া কেহ কোনও কথা জিজ্ঞাসা করিল না । তথন সন্ধ্যা গড় হইয়াছিল । সার কাসে টজি মেটা র্তাহার উপবেশন কক্ষে একখানি আরাম কেদারায় অৰ্দ্ধশায়িত অবস্থায় চুরট টানিতে ছিলেন ; বেজানজি তাহার সম্মুখে আসিয়া বলিল, “একটি ভদ্র লোক হুজুরের সঙ্গে দেখা করিতে আসিয়াছেন।”—জেমসেটুজি স্বারপ্রাস্তে অপেক্ষা করিতেছিলেন, বেজানজি” তাহাকে সেই কক্ষে প্রবেশ করিবার জন্য ইঙ্গিত করিল। 轟