পাতা:নন্দনে নরক - দীনেন্দ্রকুমার রায়.pdf/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(Фе নন্দনে নরক চাকরদের ডাকিবার জন্য ঘণ্টা বাজাইলেন ; ঘন্টার শব্দে তাহার প্রবল মানসিক চাঞ্চল্য প্রতিধ্বনিত হইয়া উঠিল । বেজানজি বারান্দায় প্রতীক্ষা করিতেছিল, ঘণ্টার অত্যুগ্র ঝঙ্কারে সে মনিবের মেজাজের পরিচয় পাইয়া প্রমাদ গণিল ! কিন্তু তখন আর ইতস্ততঃ করিবার সময় ছিল না ; সে ত্বরিতপদে প্রভুর সম্মুখে উপস্থিত হইল। মেট সাহেব বেজানজির মুখের দিকে চাহিয়া ক্রকুঞ্চিত করিয়া আরক্ত নেত্ৰে বলিলেন, “তুমি বিনা-এত্তেলায় বাহিরের লোককে এই প্রথম আমার সম্মুথে লইয়া আসিয়াছ। প্রথম অপরাধ বলিয়। এবার আমি তোমাকে মাফ করিলাম ; এরূপ অপরাধ পুনৰ্ব্বার করিলে তোমাকে বরখাস্ত করিব। এখন যাও।” বেজানজি নত মুখে নিঃশব্দে সেই কক্ষ হইতে নিস্ত্রণস্ত হইল । মেটা সাহেব জেমসেটুজির দিকে চাহিয়া বলিলেন, “কি মতলবে আমার সঙ্গে দেখা করিতে আসিয়াছ, সংক্ষেপে বল ; আমার শরীর ভাল নাই, বাজে কথা শুনিতে পারিব না ।” জেমসেটুজি সবিনয়ে বলিলেন, "হুজুর আমার নাম জেমসেটুজি আমি নিজে সামান্য লোক ; কিন্তু অনেক গুলি বড় লোকের আমি আমূ-মোক্তাব ।” মেট সাহেব বলিলেন, “তুমি বুঝি আমার কোনও মহাজনের নিকট হইতে তাগাদায় আসিয়াছ ? আমি সকলকে স্পষ্টাক্ষরে বলিয়া দিয়াছি এখন তাগাদ করিয়া কোনও ফল নাই। আমার কস্তার বিবাহের পূৰ্ব্বে আমি কাহাকেও এক পয়সা দিতে পারিব না, এবিবাহে আমার পাঁচ ছয় লাখ টাকা খরচ হইবার সম্ভাবনা।”