প্রথম পরিচ্ছেদ ‘L மு', SAeeAMSAASAASAASAAAS AeeeAS SAMAeS eAAAS A SAS SSAS পেষ্টনজির হোটেলের নাম শুনিয়া পাঠক পাঠিক মনে করিবেন না ইহা কলিকাতার গ্রেট ইষ্টাৰ্ণ হোটেল বা গ্র্যাও হোটেলের অনুরূপ কোনও হোটেল। দারিদ্র্যের স্বরূপমূৰ্ত্তি এই হোটেলে স্থপ্রকাশিত। ইহা একখানি বহু পুরাতন ক্ষুদ্র অট্টালিকা ; চুড়াকার ছাদের উপর বিবর্ণ ও অৰ্দ্ধভগ্ন টালি –ভিতরে কয়েকটি অন্ধকারযয় ক্ষুদ্র কক্ষ, আলোক ও বায়ুহিল্লোল সে সকল কক্ষে কখনও প্রবেশ করিতে পারে না ; এক একটি কক্ষ এক একটা সংকীর্ণ কুপের সহিত তুলনীয়। একটি কক্ষে দুইজন লোক অতি কষ্টে বাস করিতে পারে। মধ্যে এক একখানি ঝণপের বেড়া দিয়া একটী দালানকে কয়েকটি ক্ষুদ্র কক্ষে বিভক্ত করা হইয়াছে। কক্ষগুলি যেরূপ, কক্ষের আসবাবও তদনুরূপ ; ভাঙ্গা চেয়ার, জীর্ণ টেবিল, বহু পুরাতন আলুনা, ও রজ্জ্ব নিৰ্ম্মিত খট্রায় কক্ষের সংকীর্ণস্থান পূর্ণ। কিন্তু এই কক্ষবাসিনী সুন্দরী এমিলিকে দেখিয়া মনে হয়, বুঝি সে কোন দেবী, শাপভ্রষ্ট হইয়া এই নরকতুল্য কদৰ্য্য স্থানে আসিয়া পড়িয়াছে। এমিলি অপরূপ সুন্দরী ; তাহার রূপজ্যোতিতে সেই নিরানন্দময় অন্ধকার ভবন যেন আলোকিত ও সজীব হইয়া উঠিয়াছে। এমিলির বয়স অষ্টাদশ বর্ষের অধিক হইবে না, কিন্তু তাহাকে তাহা অপেক্ষাও তরুণী দেখায়। এমিলির দেহে নব যৌবন ; সুগঠিত মস্তকে নববর্ষার সজল কৃষ্ণ মেঘস্তরের ন্যায় নয়নাভিরাম নিবিড় কৃষ্ণ কুন্তলদাম ; তাহার নয়নে বিদ্যুৎ ; সুদীর্ঘ ক্রযুগলে মদনের ফুলধন্থ ; এবং ললাটে শুক্ল . পক্ষের খণ্ড চন্দ্রের স্নিগ্ধ সৌম্য লাবণ্যচ্ছটা ;—দেখিয়াই মনে হয় এমন সুন্দরী এখানে কেন ? দারিদ্র্যের এ অন্ধকারময় চিরদুঃখ-সস্কুল
