मदविक्षांन উষা কহিল, দিয়ে । লিখে দিয়ে যে, তঁার এলাহাবাদের হুকুমের চেয়ে আমার কলকাতার হুকুমটাই আমি বড় মনে করি। কিন্তু দেখ ভাই বিভা, আমি তোমার সম্পর্কে এবং বয়সে দুই-ই বড় । এই নিয়ে আমার উপরে তুমি অভিমান করতে পাবে না। -এই বলিয়া সে পুনরায় একটুখানি হাসিয়া কহিল, আজ তুমি রাগ ক’রে একবার বসলে না পৰ্যন্ত, কিন্তু আর একদিন তুমি নিজের ইচ্ছেয় বৌদিদির কাছে এসে বসবে, এ-কথাও আজ তোমাকে বলে রাখলুম। বিভা এ-কথার কোন উত্তর দিল না ; কহিল, আজ আমার সময় নেই-নমস্কার । এই বলিয়া সে দ্রুতপদে বাহির হইয়া গেল । গাড়িতে বসিয়া হঠাৎ সে উপরের দিকে চোখ তুলিতেই দেখিতে । পাইল, বারান্দায় রেলিঙ ধরিয়া উষা সোমেনকে লইয়া তাহার প্রতি চাহিয়া মূৰ্ত্তির মত স্থির হইয়া দাড়াইয়া আছে । 5f সাত দিনের ছুটি, কিন্তু প্ৰায় সপ্তাহ-দুই এলাহাবাদে কাটাইয়া হঠাৎ একদিন দুপুরবেলা শৈলেশ্বর আসিয়া বাটীতে প্ৰবেশ করিল। সম্মুখের নীচের বারান্দায় বসিয়া সোমেন কতকগুলা কাঠি, রঙবেরঙের কাগজ, আঠা, দড়ি ইত্যাদি লইয়া অতিশয় ব্যস্ত ছিল ; পিতার আগমন প্ৰথমে সে লক্ষ্য করে নাই, কিন্তু দেখিবামাত্ৰই সম্বৰ্দ্ধনা করিল, এবং লজ্জিত আড়ষ্টভাবে পায়ের কাছে টিপ করিয়া প্ৰণাম করিল। গুরুজনদিগকে প্ৰণাম করার ব্যাপারে এখনো সে পটুত্ব লাভ করে নাই, তাহার মুখ দেখিয়াই তাহা বোঝা গেল। খুব মন্দ না লাগিলেও শৈলেশ বিস্মিত হইল, কিন্তু ঐ কাগজ-কাঠিআঠা প্ৰভৃতির প্রতি দৃষ্টি পড়াতেই বলিয়া উঠিল, ও-সব তোমার कि झgछ ¢जाgभन्म ?
পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৪
অবয়ব