नववेिक्षांका ది সোমেন রহস্যটা এক কথায় ফাস করিল না, বলিল, তুমি বল ত বাবা, ও কি ? বাবা বলিল, আমি কি করে জানবো ? ছেলে হাততালি দিয়া মহা-আনন্দে কহিল, আকাশ-প্ৰদীপ । আকাশ-প্ৰদীপ । আকাশ-প্ৰদীপে কি হবে ? ইহার অদ্ভুত বিবরণ সোমেন আজ সকালেই শিখিয়াছে, কহিল, আজ সংক্রান্তি, কাল সন্ধ্যাবেলায় উই উচুতে বঁাশ বেঁধে টাঙাতে হবে বারা । মা বলেন, আমার ঠাকুদ্দারা র্যারা স্বৰ্গে আছেন, তাদের আলো দেখাতে হয় । তারা আশীর্বাদ করেন । শৈলেশের মেজাজ গরম হইয়াই ছিল, টান মারিয়া পা দিয়া সমস্ত ফেলিয়া দিয়া ধমক দিয়া কহিল, আশীৰ্ব্বাদ করেন । যত সমস্ত কুসংস্কার-যা পড়গে যা বলচি । তাহার এত সাধের আকাশ-প্ৰদীপ ছত্রাকার হইয়া পড়ায় সোমেন কঁদো-কঁদো হইয়া উঠিল। উপরে কোথা হইতে মিষ্টকণ্ঠের ডাক আসিল, বাবা সোমেন, কাল বাজার থেকে আমি আরও ভাল একটা আকাশ-প্ৰদীপ তোমাকে কিনে আনিয়ে দেবো, তুমি আমার কাছে এসে । সোমেন চােখ মুছিতে মুছিতে উপরে চলিয়া গেল। শৈলেশ কোনদিকে দৃষ্টিপাত না করিয়া গম্ভীর বিরক্ত-মুখে তাহার পড়িবার ঘরে গিয়া প্ৰবেশ করিল। পরীক্ষণেই ছোট ঘণ্টার শব্দ হইলটুনটুনটুনটুন। কেহ সাড়া দিল না । আবদুল ? আবদুল আসিল না । গিরূধাৱী ? গিরুধাৱী ? গিরধারীর পরিবর্তে বাঙালী চাকর গোকুল গিয়া পর্দার ফাক দিয়া মুখ বাড়াইয়া কহিল, আজ্ঞে শৈলেশ ভয়ানক ধমক দিয়া উঠিল, আজ্ঞে ? ব্যাটারা মরেচিস ।
পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৫
অবয়ব