বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नदर्थिां গোকুল বলিল, আজ্ঞে না। আজ্ঞে না ? আবদুল কই ? গোকুল কহিল, মা তাকে ছুটি দিয়েচেন, সে বাড়ী গেছে। ছুটি দিয়েচোন ? বাড়ী গেছে ? গিরুধারী কোথা গেল ? গোকুল জনাইল সেও ছুটি পাইয়া দেশে চলিয়া গিয়াছে। শৈলেশ স্তম্ভিত হইয়া কহিল, বাড়ীতে কি লোকজন কেউ আর নেই নাকি ? গোকুল ঘাড় নাড়িয়া বলিল, আজ্ঞে, আর সবাই আছে । তাই বা আছে কেন ? যা দূর হশৈলেশ্বর নিজেই তখন জুতা খুলিল, কোটি খুলিয়া টেবিলের উপরেই জড়ো করিয়া রাখিল ; আলনা হইতে কাপড় লইয়া ট্রাউজার খুলিয়া দূরের একটা চেয়ার লক্ষ্য করিয়া ছুড়িয়া ফেলিতে সেটা নীচে পডিয়া লুটাইতে লাগিল ; নেকটাই, কলার প্রভৃতি যেখানেসেখানে ফেলিয়া দিয়া নিজের চৌকিতে গিয়া বসিতেই, ঠিক সম্মুখে টেবিলের উপর একটি খাতা তাহার চোখে পড়িলা-মলাটে লেখা, সংসার-খরচের হিসাব । খুলিয়া দেখিল, মেয়েলি অক্ষরের চমৎকার স্পষ্ট লেখা । দৈনিক খরচের অঙ্ক-মাছ এত, শাক এত, চাল এত, ডাল এত,-হঠাৎ দ্বারের পর্দা সরানোর শব্দে চকিত হইয়া দেখিল কে একজন স্ত্রীলোক প্ৰবেশ করিতেছে। সে আর যে-ই হৌক দাসী নয়, তাহা চক্ষের পলকে অনুভব করিয়া শৈলেশ হিসাবের খাতার মধ্যে একেবারে মগ্ন হইয়া গেল। যে আসিল সে তাহার পায়ের কাছে গড় হইয়া প্ৰণাম করিয়া উঠিয়া দাড়াইয়া কহিল, তুমি কি এত বেলায় আবার চা খাবে নাকি ? কিন্তু তা হলে আর Vives co far a VTV5 QK || 1 না খাও, হাত-মুখ ধুয়ে ওপরে চল। অবেলায় স্নান করে আর কাজে নেই, কিন্তু জলখাবার ঠিক করে আমি কুমুদাকে সরবৎ তৈরি করতে বলে এসোচি ; চলো ।