y नक्षिांन्न উষা খিল খিল করিয়া হাসিয়া উঠিল। সোমেন হাসির হেতু বুঝিল না, কিন্তু সে মায়ের কোলের উপর ঢলিয়া পড়িয়া মুখপানে চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিল, গাছ-পাটা কি মা ? প্ৰত্যুত্তরে উষা ছেলেকে আরও একটু বুকেবা কাছে টানিয়া লইয়া স্বামীকে শুধু কহিল, আগে খেয়েই দেখ। শৈলেশ একটুকবা মাংস মুখে পুরিয়া দিয়া কহিল, না, চার-পেয়ে পাটাই বটে। চমৎকার হয়েচে, কিন্তু এ রান্না তুমি শিখলে কি ক’বে ? উষার মুখ প্ৰদীপ্ত হইয়া উঠিল, কহিল, রান্না কি শুধু তোমার আবদুলই জানে ? আমার বাবা ছিলেন সিদ্ধেশ্বরীর সেবায়েত, তুমি কি ভেবেচ আমি গোঁসাই-বাড়ী থেকে আসচি ? শৈলেশ কহিল, এই একবাটি খাবার পরে সে-কথা মুখে আনে কার সাধ্য। কিন্তু আমার তা সিদ্ধেশ্ববী নেই, এ কি প্রতিদিন জুটবে ? উষা বলিল, কিসের অভাবে জুটবে না শুনি ? শৈলেশ কহিল, আবদুলের শোক তা আমি আজই ভোলবার যো করেচি, দেনা উষা রাগ করিয়া বলিল, আমি কি তোমাকে বলেচি যে, স্বামীপুত্ৰকে না খেতে দিয়ে আমি দেনা শোধ করবো ? দেনার কথা তুমি আর মুখেও আনতে পাবে না বলে দিচ্ছি। শৈলেশ কহিল, তোমাকে বলে দিতে হবে না, দেনার কথা মুখে আনা আমার স্বভাবই নয় । কিন্তু উষা বলিল, এতে কিন্তু নেই। খাবার জন্যে ত দেনা হয়নি। কিসের জন্য যে হ’ল কিছুই তা জানিনে উষাউষা জবাব দিল, তোমার জেনেও কোনদিন কােজ নেই। দয়া ক’রে এইটি শুধু ক’রো, পাগল বলে আবার যেন নিৰ্ব্বাসনে পাঠিয়ে না। শৈলেশ নিঃশব্দে, নতমুখে আহার করিতে লাগিল। সোমেন न-3ि-३
পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২২
অবয়ব