পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मदक्षिांन 3 ক্ষেত্রমোহন কি একটা বলিতে যাইতেছিলেন, কিন্তু শ্ৰীকে প্ৰবেশ করিতে দেখিয়া চুপ করিয়া গেলেন। মোটর প্রস্তুত হইয়া আসিলে তিনজনেই উঠিয়া বসিলেন। সমস্ত পথটা ক্ষেত্ৰমোহন অন্যমনস্ক হইয়া রছিলেন, কাহারও কোন কথা বোধ করি তাহার কানেই গেল না ।

  • ांड

অল্প কিছুক্ষণেই গাড়ী আসিয়া শৈলেশ্বরের দরজায় দাড়াইল । ভিতরে প্রবেশ করিয়া প্রথমেই সাক্ষাৎ মিলিল সোমেনের। সে কয়লাভাঙা হাতুড়িটা সংগ্ৰহ করিয়া লইয়া চৌকাটে বসিয়া তাহার রেলগাড়ীর চাকা মেরামত করিতেছিল । তাহার চেহারার দিকে চাহিয়া হঠাৎ কাহারও মুখে আর কথা রহিল না। তাহার কপালে, গালে, দাড়িতে, বুকে, বাহুতে অর্থাৎ দেহের সমস্ত উপরার্থটাই প্ৰায় চিত্র-বিচিত্র করা। গঙ্গার ঘাটের উড়ে পাণ্ডা শাদা, রাঙা, হলুদ রঙ দিয়া নিজের দেশের জগন্নাথ হইতে আরম্ভ করিয়া পশ্চিমের রাম-সীতা পৰ্যন্ত সর্বপ্ৰকার দেব-দেবীর অসংখ্য নাম ছাপিয়া 命和Z变1 বিভা শুধু একটু মুচুকিয়া হাসিয়া কহিল, বেশ দেখিয়েচে বাবা, বেঁচে থাকো । শৈলেশের এই দু’জনের কাছে যেন মাথা কাটা গেল । স্বভাবতঃ সে মৃদু-প্ৰকৃতির লোক, যে-কোন কারণেই হোক, হৈ-চৈ হাঙ্গামা সৃষ্টি করিয়া তুলিতে সে পারিত না, কিন্তু ভগিনীর এই অত্যন্ত কটু উত্তেজনা হঠাৎ তাহার অসহ্য হইয়া পড়িল । ছেলের গালে সশব্দে একটা চড়। কসাইয়া দিয়া কহিল, হতভাগা, পাজি । কোথা থেকে এইসমস্তু ক’রে এলি ? কোথা গিয়েছিলি ?