২৭ नदाद थांन्त्र উষা মুখ ফিরাইয়া দেখিয়াই মাথার কাপড় তুলিয়া দিয়া উঠিয়া দাড়াইল । সোমেন কাছে বসিয়া বোধ করি মায়ের কাজ বাড়াইতেছিল, কহিল, পিসেমশাই । উষা অদূরে একটা চৌকি দেখাইয়া দিয়া আস্তে আস্তে বলিল, বসুন। তাহার সম্মুখের গোটা-দুই আলমারীর কপাট খোলা, মেজের উপর অসংখ্য-রকমের কাপড় জামা শাড়ী জ্যাকেট কোট পেণ্টলান মোজা টাই কলার-কত যে রাশীকৃত করা তাহাব নির্ণয় নাই,-ক্ষেত্ৰমোহন আসন গ্ৰহণ করিয়া কহিলেন, আপনার इछ् किं ? সোমেন ভূপের মধ্য হইতে একজোড়া মোজা টানিয়া বাহির করিয়া কহিল, এই আর একজোড়া বেরিয়েচে । এইটুকু শুধু ছেড়া 一(瓦颈〔际a 可11 উষা ছেলের হাত হইতে লইয়া তাহা একস্থানে গুছাইয়া রাখিল । তাহার রাখিবার শৃঙ্খলা লক্ষ্য করিয়া ক্ষেত্রমোহন একটু আশ্চৰ্য্য হইয়া প্রশ্ন করিলেন, এ কি অনাথ-আশ্রিমের ফর্দ তৈরী হচ্ছে, না জঞ্জাল পরিষ্কারের চেষ্টা হচ্ছে ? কি কারচেন বলুন তা ? তিনি ভাবিয়া আসিয়াছিলেন, পল্লী অঞ্চলের নূতন বধু তাঁহাকে দেখিয়া হয়ত লজ্জায় একেবারে অভিভূত হইয়া পড়িবে, কিন্তু উষার আচরণে সেরূপ কিছু প্ৰকাশ পাইল না। সে মুখ তুলিয়া চাহিল না। বটে, কিন্তু কথার জবাব সহজ-কণ্ঠেই দিল, কহিল, এগুলো সব সারতে পাঠাবো ভাবচি। কেবল মোজাই এত জোড়া আছে যে, বোধ করি, দশ বচ্ছর আর না। কিনলেও চলে যাবে। ক্ষেত্রমোহন একমুহুৰ্ত্ত স্থির থাকিয়া কহিলেন, বৌঠাকরুশ, এখন কেউ নেই, এই সময় চাটু করে একটা কথা বলে রাখি। আপনার ননাদটিকে দেখে তার স্বামীয় স্বরূপটা যেন মনে মনে আন্দাজ করে দুখফোর্স" না। বাইরে থেকে আমার সাজ-সজা আর আচার
পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩২
অবয়ব