R बक्षिांन ক্ষেত্রমোহন পুনরায় কি একটা বলিতে যাইতেছিলেন, কিন্তু সহসা অনেকগুলি জুতার শব্দ সিঁড়ির নীচে শুনিতে পাইয়া শুধু বলিলেন, এরা সব উপরেই আসচেন দেখচি । শৈলেশের বোন এবং আমার বোনের বাইরের বেশভূষার সাদৃশ্য দেখে কিন্তু ভিতরটাও একরকম বলে স্থির কবে নেবেন না । উষা শুধু একটুখানি হাসিয়া ঘাড় নাডিয়া কহিল, আমি বোধ হয় চিনতে পারব । ক্ষেত্রমোহন কহিলেন, বোধ হয় ? নিশ্চয় পারবেন। এও আমি নিশ্চয় জানি । আট সিড়িতে যাহাঁদের পায়ের শব্দ শোনা গিয়াছিল, তাহাবা শৈলেশ, বিভা এবং বিভার ছোট ননদ উমা । শৈলেশ ও বিভা ঘরে প্রবেশ করিল, সকলের পিছনে ছিল উমা, সে চৌকাটের এদিকে পা বাড়াইতেই, তাহার দাদা তাহাকে চোখের ইঙ্গিতে নিষেধ করিয়া কহিলেন, জুতোটা খুলে এসে উমা ! বিভা ফিরিয়া চাহিয়া স্বামীকে সবিস্ময়ে প্রশ্ন করিল, কেন दब्न ऊ ? ক্ষেত্রমোহন বলিলেন, দোষ কি ? পায়ে কঁাটাও ফুটবে না, হেঁচটও লাগবে না । বিভা কহিল, সে আমি জানি । কিন্তু হঠাৎ জুতো খোলার দরকার হ’ল কিসে তাই শুধু জিজ্ঞেস করেচি। ক্ষেত্রমোহন বলিলেন, বৌঠাকরুণ হিন্দু-মানুষ, তা ছাড়া গুরুজনের ঘরের মধ্যে ওটা পায়ে দিয়ে না। আসাই বোধ হয় ভাল। বিভা স্বামীর পায়ের প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপ করিয়া দেখিল, শুধু কেবল ভগিনীকে উপদেশ দেওয়াই নয়, নিজেও তিনি ইতিপূর্বে
পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৪
অবয়ব