\ बदिन् উষা মুখ তুলিয়া চাহিয়া প্রশ্ন করিল, স্বামীর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা করার চেষ্টাকে কি উষ্ণুবৃত্তি বলে ঠাকুরবি ? ক্ষেত্ৰমোহন তৎক্ষণাৎ বলিয়া উঠিলেন, না, বলে না। পৃথিবীর কোন ভদ্রব্যক্তিই এমন কথা মুখে আনতেও পারে না । কিন্তু স্বামীর চক্ষে স্ত্রীকে নিরন্তর হীন প্ৰতিপন্ন করবার চেষ্টাকে হৃদয়ের কোন প্ৰবৃত্তি বলে, আপনাব ঠাকুরবিকে বরঞ্চ জিজ্ঞেস করে নিন। বিভার মুখ দিয়া সহসা কোন কথা বাহিব হইল না। অভিভূতের মত একবার সে বক্তার মুখের দিকে, একবার শৈলেশের মুখের দিকে নির্বাক হইয়া চাহিয়া রহিল। এতগুলি লোকের সমক্ষে তাহার স্বামী যে যথার্থই তাহাকে এমন করিয়া আঘাত করিতে পারে, প্ৰথমে সে যেন বিশ্বাস করিতেই পারিল না । তার পরে শৈলেশের মুখের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করিয়া হঠাৎ কঁাদিয়া ফেলিয়া বলিল, এর পরে আর ত তোমার বাড়ীতে আসতে পারিনে দাদা । আমি তাহলে চিরকালের মতই চললুম। শৈলেশ ব্যাকুল হইয়া উঠিল । উষা হাতের কাজ ফেলিয়া, শশব্যাস্তে উঠিয়া দাড়াইয়া তাহার হাত চাপিয়া ধরিয়া কহিল, আমরা ত তোমাকে কোন কথা বলিনি ভাই । হঠাৎ একটা বিশ্ৰী কাণ্ড হইয়া গেল এবং এই গণ্ডগোলের মধ্যে ক্ষেত্ৰমোহন নিঃশব্দে বাহির হইয়া গেলেন । বিভা হাত ছাড়াইয়া লইয়া চোেখ মুছিতে মুছিতে বলিল, আমি যখন আপনার কেবল শত্ৰুতাই করচি, তখন এ-বাড়ীতে আমার আর কিছুতেই প্ৰবেশ করা উচিত নয় । DS uBDBBSDD MBDD BDBSS DDm D BBDD BOBDDB LDBD छैाकूब्रवि । বিভা একথায় কাণও দিল না । অশ্রুবিকৃত-স্বরে বলিতে লাগিল, আজ উনি মুখের উপর স্পষ্ট বলে গেলেন, কাল হয়ত দাদাও বলবেন-তার নূতন ঘর-সংসারের মধ্যে কথা কইতে যাওয়া শুধু ܘܠܚܪf-ܘ̄
পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৮
অবয়ব