NO नक्षिग्न অধৈৰ্য্যের উত্তেজনায় তাহার কেবলই ভয় করিতে লাগিল পাছে আপনাকে আর সে ধরিয়া রাখিতে না পারে, পাছে নিজেই ছুটিয়া গিয়া উষাকে জিজ্ঞাসা করিয়া ফেলে, কাল ক্ষেত্ৰমোহনের সহিত তাহার কি কথা হইয়াছে। শৈলেশ নিজেকে যেন আর বিশ্বাস কবিতে পারিতেছিল না । এমনি করিয়া ঘড়ির প্রতি চাহিয়া চাহিয়া সময় যখন আর কাটে না, এমন সময়ে দ্বারের পর্দা সরাইয়া যে ব্যক্তি সহসা প্ৰবেশ করিল সে একান্ত প্ৰত্যাশিত ক্ষেত্ৰমোহন নয়-অবিনাশ । শৈলেশ মুখ তুলিয়া চাহিয়া দেখিয়া একখানা বই টানিয়া লইল। তাহার সর্বদেহে যেন আগুন ছড়াইয়া দিল । অবিনাশ বসিতে যাইতেছিল, কিন্তু খাদ্যদ্রব্যগুলার প্রতি চোখ পড়িতে ও-ধাবের একখানা চেয়ার আরও খানিকটা দূরে টানিয়া লইয়া উপবেশন করিল। গৃহস্বামী অভ্যর্থনা করিবে এ ভরসা বোধ কবি তাহার ছিল না, কিন্তু ঘরে ঢোকার একটা কারণ পৰ্য্যন্তও যখন সে জিজ্ঞাসা করিল না, তখন অবিনাশ নিজেই কথা কহিল। বলিল, এই আড়াইটাবি গাড়ীতে তা দিদি যেতে চাচ্ছেন। শৈলেশ মুখ তুলিয়া কহিল, চাচ্ছেন ? কেন, আমার পক্ষ থেকে কি তিনি বাধা পাবার আশঙ্কা কারচেন ? অবিনাশ ছেলেমানুষ, সে হঠাৎ কি জবাব দিবে। ভাবিয়া না পাইয়া শুধু কহিল, আজ্ঞে না। দরজার বাহিরে চুড়ির শব্দ পাইয়া শৈলেশের মন আরও বঁকিয়া গেল। বলিল, না, আমার তরফ থেকে তঁর যাবার কোন নিষেধ নেই। অবিনাশ নীরব হইয়া রহিল। শৈলেশ প্রশ্ন করিল, তোমার দাদার আসবার কথা ছিল, শুনেছিলুম, তিনি এলেন না কেন ? অবিনাশ সন্ধুচিতভাবে আস্তে আস্তে বলিল, তার আমাকে •ाठांशांद्र७ cङभन छेप्छ हिश्श ना ।
পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৮
অবয়ব