বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

岔气 नदर्वेिक्षांन প্রায়ই আসিতে লাগিলেন। গৃহে গৃহিণী নাই, সন্তান নাই, গোটাতিনেক চাকরে মিলিয়া সংসার চালাইতেছে-দেখিতে দেখিতে সমস্ত বাড়ীটা এমনি বিশৃঙ্খল ছন্নছাড়া মূৰ্ত্তি ধারণ করিল যে, ক্লেশ৷ অনুভব না করিয়া পারা যায় না । প্ৰায় মাসাধিককাল পরে তিনি সেই কথারই পুনরুত্থান করিয়া কহিলেন, তুমি ত মনের ভাব জানো শৈলেশ, কিন্তু কেউ একজন বাড়ীতে না থাকলে বঁচা কঠিন । বিশেষ বুড়ো-বয়সে উমা আজ উপস্থিত ছিল, সে বলিল, বুড়ো-বয়সের এখনো ঢের দেরী এবং তার ঢের আগেই বৌদি এসে হাজির হবেন । রাগ করে মানুষে আর কতকাল বাপের বাড়ী থাকে ?-এই বলিয়া সে একবার দাদার মুখের প্রতি ও একবার শৈলেশের মুখের প্রতি চাহিল, কিন্তু দু’জনের কেহই জবাব দিল না। বিশেষতঃ শৈলেশের মুখ যেন সহসা মেঘাচ্ছন্ন হইয়া উঠিল। কিন্তু উমা চাহিয়াই আছে দেখিয়া সে কিছুক্ষণ পরে শুধু ঘাড় নাড়িয়া কহিল, না, তিনি আর আসবেন না । উমা অত্যন্ত অবিশ্বাসে জোর করিয়া বলিল, আসবেন না ? নিশ্চয় আসবেন । হয়ত এই মাসের মধ্যেই এসে পড়তে পারেন। ই দাদা, পারেন না ? ফিরিয়া আসা যে কত কঠিন দাদা তাহা জানিতেন । যাইবার পূর্বে শৈলেশের মুখের প্রত্যেক কথাটি তাহার বুকে গাঁথা হইয়াছিল, উষা কোনদিন যে সে-সকল বিস্মৃত হইতে পরিবে তিনি ভাবিতেও পারিতেন না। বধূর প্রতি শৈলেশের পিতা অপরিসীম অবিচার করিয়াছেন ; ফিরিয়া আসার পরে বিভা ঈৰ্য্যাবশে বহুবিধা অপমান করিয়াছে এবং তাহার চূড়ান্ত করিয়াছে শৈলেশ নিজে তাহার যাইবার দিনটিতে। তথাপি হিন্দু নারীর শিক্ষা ও সংস্কার বিশেষ উষার• মধুর চরিত্রের সহিত মিলাইয়া তাহার স্বামিংগৃহ ত্যাগ করিয়া যাওয়াটা ক্ষেত্ৰমোহন কিছুতেই অনুমোদন করিতে পারিতেন