नक्षिांनि R করিয়াছে শুনিলে রাগে তাহার সর্বাঙ্গ জ্বলিয়া যাইত। ভূপেনবাবুর কন্যার প্রসঙ্গে সে হঠাৎ বলিয়া উঠিল, একটা বেীকে তাড়ালেন, একটা বেীকে খেলেন, আবার বিয়ে ? সংসার করতেই যদি হয় ত উমেশ ভট্টচায্যির মেয়ে দোষটা করলে কি শুনি ? ঘর করতে হয় ত তাকে নিয়ে ঘর করুন । ভদ্রলোকেরা কেহই কিছু জানিতেন না, তঁহারা আশ্চৰ্য্য হইয়া গেলেন। দিগগজ কহিল, সে-বেচারার দিকে ভগবান যদি মুখ তুলে চাইলেন ত তাকেই বাড়ীতে আনুন-আবার একটা বিয়ে করবেন। না, ম্যাট্রিকুলেশন পাশ। পাশ হয়ে তা সব হবে। রাগে তাহার छछे प्रयू ब्रांडा झछेशा ठठेिल । শৈলেশ্বর নিজেও কোনমতে ক্ৰোধ দমন করিয়া কহিল, আরে, সে যে পাগল, দিগগজ । কেহ কাহাকেও পাগল বলিলে দিগগজের আর হুস থাকিত না ; সে ক্ষেপিয়া উঠিয়া কহিল, পাগল সবাই । আমাকেও লোকে পাগল বলে,-"তাই বলে আমি পাগল ? সকলেই উচ্চ-হাস্য করিয়া উঠিলেন। কিন্তু তাই বলিয়া ব্যাপারটা চাপা পড়িল না। হাসি থামিলে শৈলেশ লজ্জিতমুখে ঘটনাটা বিবৃত করিয়া কহিল, আমার জীবনে সে একটা অত্যন্ত unfortunate ব্যাপার। বিলাত যাবার আগেই আমার বিয়ে হয়, কিন্তু শ্বশুরের সঙ্গে বাবার কি একটা নিয়ে ভয়ানক বিবাদ হয়ে যায়। তা ছাড়া মাথা খারাপ বলে বাবা তাকে বাড়ীতে রাখতেও পারেননি। ইংল্যাণ্ড থেকে ফিরে এসে আমি আর তাকে দেখিনি । এই বলিয়া শৈলেশ জোর করিয়া একটু হাসির চেষ্টা করিয়া কহিল, ওহে দিগগজ। বুদ্ধিমান। তা না হলে কি তঁরা একবার পাঠাবার চেষ্টাও করতেন না ? চায়ের মজলিসে গরহাজির ত কখনো দেখলুম না, কিন্তু তিনি সত্যি সত্যিই এলে এ আশা আর করব না । গঙ্গাজল আর গোবরছড়ার সঙ্গে তোমাদের সকলকে বেঁটিয়ে সাক
পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭
অবয়ব