नवक्षिनं (6 ويل নিঃশ্বাস মোচন করিয়া ক্ষেত্ৰমোহন কহিলেন, শৈলেশের দ্বারা সমস্তই সম্ভব। মনের জোর বলে যে বস্তু, সে তার একেবারে নেই। মরুক গে। সে, কিন্তু দুঃখু এইটুকু যে, সঙ্গে সঙ্গে ছেলেটাকেও সে বিগড়ে তুলচে। যেমন করে পারো এইখানে তোমার বাধা দেওয়া চাই । বিভা বিষগ্ন-গম্ভীর-মুখে স্তব্ধ হইয়া বসিয়া রহিল। সে কান্নাকাটি অভিমান সমস্তই করিতে পারে, কিন্তু ঠেকাইবার সাধ্য তাহার নাই, তাহা সে মনে মনে জানিত । ক্ষেত্ৰমোহন অনেকক্ষণ স্থিরভাবে থাকিয়া আস্তে আস্তে বলিলেন, সন্দেহ আমার বরাবরই ছিল, কিন্তু একটি জিনিষ আমি নিশ্চয় ধরেচি বিভা, উষাকে তোমার দাদা সত্যই ভালবেসেছিল । এত ভাল সে সোমেনের মাকে কোনদিন বাসোনি । এ-সব হয়ত তারই প্ৰতিক্রিয়া । বিভা রাগ করিল। কহিল, তাই এমনি করে তঁর মন পাবার চেষ্টা করচেন ? দেখ, দাদা আমার দুর্বল হতে পারেন, কিন্তু ইত্যর ন’ন। কারও জন্যেই এই সঙ সাজার ফন্দি তার মাথায় আসবে না । এই প্রতিক্রিয়া বস্তুটা যে কি অদ্ভুত ব্যাপার, বিভা তাহার কি জানে! শব্দটা শুধু ক্ষেত্ৰমোহন বইয়ে পড়িয়াছেন ; তিনিও ইহার বিশেষ কিছুই জানেন না, তাই স্ত্রীর ক্রোধের প্রত্যুত্তরে তিনি চুপ করিয়া রহিলেন। অন্ধকারে তর্ক-যুদ্ধ চালাইতে র্তাহার সাহস झ्श्व्ण मा । কিন্তু প্ৰতিক্রিয়া যাই হোক, কাজের বেলায় বিভাই জয়ী হইল। স্বামীকে দিন-দুয়ের মধ্যেই কাজ-কৰ্ম্ম ফেলিয়া এলাহাবাদ রওনা হইতে হইল। ফিরিয়া আসিয়া তিনি আনুপূর্বিক যাহা বৰ্ণনা করিলেন, তাহা যেমন হাস্যাম্পদ তেমনি অপ্রিয়। যোগেশবাবুর বাটীর কাছেই বাসা, কিন্তু শৈলেশের সহিত সাক্ষাৎ হয় নাই, সে গুরু-ভাইদের সহিত শ্ৰীগুরু-পাদপদ্ম-দৰ্শনে বৃন্দাবনে গিয়াছে, দেখা
পাতা:নববিধান - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭২
অবয়ব