পাতা:নবরত্নমালা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘদূত । , গিয়ে যদি, জলধর, দেখি তারে নিদ্রায় নিঝুম, গর্জন থামায়ে থেক একদণ্ড ভেঙ্গনা সে ঘুমস্বপনে লভয়ে যেই প্ৰণয়ীর গাঢ় আলিঙ্গন কণ্ঠচু্যত নাহি হয়। সদ্য যেন সে ভুজ বন্ধন ৷৷ ৩৫ নবজািল কণা পেয়ে সমাশ্বস্ত মালতী যেমতি, অতঃপর জাগাইয়ে সমাশ্বাসি প্রিয়ারে তেমতি— স্তিমিত নয়নে যবে চাহিবে সে গবাক্ষের পানে আরম্ভিবে কথা মোর ধীরে ধীরে স্তনিত বচনে ॥ ৩৬ “পতির পরম সখা, অবিধাবে, আমি জলধর, “তার শুভ বাৰ্ত্ত লয়ে তোমা কাছে এসেছি সত্বার“পথশ্রান্ত প্ৰবাসীরা করে ত্বর আমারি তাড়নে, “সমুৎসুক শুনি ধবনি প্ৰিয়া বেণী বন্ধন মোচনে ৷” ৩৭ জানকী উন্মুখী যথা, কহে কথা মারুতী যখন, তোমার বচনে তথা, ভাবনায় বিচলিত মন সে সব কাহিনী তব শুনিবে সে অবহিত হয়েবন্ধুমুখে কান্ত-বাৰ্ত্তা কিছু কম মিলনের চেয়ে ॥ ৩৮ কহিবে আমার হয়ে মানি তথা আত্ম উপকার, “রামগিরি আশ্রমেতে করে বাস পতি সে তোমার, “বেঁচে আছে এখনো সে, প্ৰথমেতে জিজ্ঞাসে কুশলকেন না। এ ভব মাঝে প্ৰাণী মাত্র বিপদ বিহবল ৷৷ ৩৯