পাতা:নবরত্নমালা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘদূত । St.

  • কৃশাঙ্গ সুতানু অঙ্গ, গাঢ় তপ্ত তাপিত সে জন। -- “উৎকণ্ঠা উভয়ে দহে, অশ্রুজিলে অশ্রুর মিলন“নিশ্বাসে নিশ্বাস মিশে মনে মনে হয় একাকার - “যদিও বিধির পকে ছাড়াছাড়ি সদা দুজনার ॥ ৪৫

“যে কথা সহজ ভাবে বলা যায় সখী বিদ্যমানে “লোভি যে অধর সুধা কহিতে চাহিত কাণে কাণে, “শ্রবণ পথের দূর নয়নের অতীত এখন, “সকাতরে রচি পদ মম মুখে করেছে প্রেরণ ॥” ৪১ ‘লতায় লালিত্য তব, হরিণী নয়নে দৃষ্টি ভাস, “মুখ কান্তি শশি পরে, শিখি পুচ্ছে তব কেশ পাশ, “সুতানু নদীর স্রোতে দেখি গিয়া তব ভ্ৰাবিলাস, “কিছুতে সাদৃশ্য নাই খুজে খুজে মারি হা হতাশ ! ৪২ “রচিয়ে তোমার ছবি ধাতুরাগে শিলায় চিত্ৰিত, “আপনারে করি যেই মানিনীর চরণে পতিত“অমনি আসিয়ে অশ্রু করে মম দৃষ্টি আবরণ‘কৃতান্ত এমনি ক্রর তাতেও সে না। সহে মিলন ৷৷ ৪৩ “বহু কষ্টে প্রিয়ে মোর পেয়ে তোর স্বপন দর্শন, ‘আকাশে তুলেছি হাত দিতে গিয়ে গাঢ় আলিঙ্গন“এ সব দেখিয়া ভাই দয়াশীলা বন-দেবতারা *পাতায় পাতায় ফেলে মুক্তাকার অশ্রু বারিধারা ॥ ৪৪