পাতা:নবরত্নমালা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ Κ তুকারাম । তৃকারাম সংসার আশ্রম হইতে অবস্থিত হইয়া শুজন পৃ**'; কী ধ্ৰুণে দিনযাপন করিতে লাগিলেন। প্রত্যুষে স্নান করি?? বঠোবার মন্দিরে গমন ও দেবপূজাদি সমাপন করিয়া অরণ্যে প্ৰস্থান, এই তঁর নিত্য নিয়মিত কৰ্ম্ম ৷ দেহর তিন ফ্লোশ পশ্চিমে “ভাণ্ডারী” নামক পাহাড় তাহার প্রিয় আবাসস্থান ছিল । তথায় সমস্ত দিবস ধ্যান ধারণায় মগ্ন থাকিয়া সন্ধ্যার সময় দেহুতে, ফিরিয়া আসিয়া বিঠোবার মন্দিরে ভজনাদি করিতেন । এইরূপে তাহার দিন যায় ৷ এখনো পয্যন্ত তাহার • জীবনের স্মৃতি নিরূপিত ও বিশ্বাসের স্থিরতা সম্পাদিত হয় নাই ৷ মাঘ মাসের দশমী শুক্লপক্ষের রাত্ৰিতে তাহার এক স্বপ্ন হয়, তাহাতেই তাহার জীবন-স্রোত নিয়মিত হইল । সেই স্বপ্নে বাধাজি নামক এক ব্যক্তি তাহার নিকট আবিভূতি হন ও চৈতন্যের শিষ্য বলিয়া আপনার পরিচয় দিয়া তুকা রামকে “রাম, কৃষ্ণ, হরি।” এই মধুে দক্ষিত করেন এবং রাঘব- চৈতন্য ও কেশব-চৈতন্যকে গুৰু বলিয়া মানিতে উপদেশ দেন । সেই সময় অবধি তৃকারামের হৃদয়-গ্রন্থি খুলিয়া গেলা-সকল সংশয় ভঞ্জন হইল। তাহার মনে যে অগাধ শান্তি ও অাশার উদ্ৰেক হইল তাহা নিজেই কতিপযু শ্লোকে বর্ণনা করিয়াছেন । עיף כי, শুন দেব, মনে যাহা করেছি নিশ্চয়, জীবন সঁপি নু পদে হইয়ে নিৰ্ভধু । স কলি করেছি ত্যাগ, তোমারেহ চাই, সংশয় আশঙ্কা ভয় আর কিছু নাই ।