পাতা:নবরত্নমালা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ο No তুকারাম । র্তাহার উপর নিপতিত হইল । শূদ্র হইয়া তিনি বেদোদ্বোধন করেন— গুরুর ন্যায় ধৰ্ম্মোপদেশ দেন-লোকেরা ভক্তিভরে তঁাহাকে দণ্ডবং প্ৰণাম করে-ইহা ব্ৰাহ্মণদেৱ চক্ষে অসহ্যু হইয়া উঠিল। ব্ৰাহ্মণজাতির মধ্যে কোন কোন দুরাত্মার দ্বেষ ও ঈর্ষা জলিয়া উঠিল ও তঁাহারা তুকারামের প্রতি বৈরসাধনে প্ৰবৃত্ত হইলেন । দেহু গ্রামে মম্বাজী নামে একজন গোসাই বাস করিতেন-ভঁাহার হস্ত হইতে তুকারামের উপর অত্যাচারের প্রথম সূত্ৰপাত হয়। বিঠোবা-মন্দিরের পশ্চাদ্ভাগে মম্বাজীর একটি বাগান ছিল, তাহা তিনি কাটা গাছের বেষ্টন দিয়া ঘিরিয়া লইলেন । একাদশীর দিন দেহুৰ এক উৎসবের দিন, সে দিন বিঠোবা-মন্দির লোকে লোকরণ্য হইয়াছে। তুকারাম দেখেন যে এই সকল কাটা গাছে লোকদিগের প্রদক্ষিণ স্থান পৰ্য্যন্ত অধিকৃত হইয়াছে, তাহ দেখিয়া তিনি স্বহস্তে তাহ উৎপাটিত করিয়া স্থান পরিস্কৃত করিয়া দিলেন । ইহাতে মম্বাজী ক্ৰোধাবিষ্ট হইয়া সেই সকল কণ্টক-যষ্টি দিয়া তুকারামকে উত্তম মধ্যম বিলক্ষণ প্রহার করিলেন। তুকারাম ঐ প্ৰহারিকের প্রতি বিন্দুমাত্ৰ কোপ প্ৰকাশ না করিয়া তাহার নিত্য নিয়মিত কৰ্ম্মে ব্যাপৃত রহিলেন, যেন কিছুই হয় নাই। “অসাধুং সাধুনা জয়েং” এই উপদেশ মত কাৰ্য্য করিয়া জয়লাভ করিলেন। তুকারাম যে কয়েকটি শ্লোকে এই ঘটনার উল্লেখ করিয়াছেন তাহা নিয়ে উদ্ধত হইল \O ( “অসাধুং সাধুনা জয়েৎ” ছাড়িব না। ছাড়িব না, ছাড়িব না হে বিঠোবা তোমারি চরণ ।