পাতা:নবরত্নমালা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুকারাম । SOʻoA মধ্যে কান্ত মঞ্চের উপর বসিয়া ধ্যানে মগ্ন, এদিকে পক্ষীরা অকুতে।” ভয়ে শস্য খাইয়া যায়। এইরূপে এক মাস চলিয়া গেলে ক্ষেত্রপতি ফিরিয়া আসিয়া দেখে যে তাহার ক্ষেত বিহঙ্গকুলের বাসস্থান হইয়াছে। ইহা দেখিয়া সে ক্ৰোধাভরে তুকারামকে তাহার অনবধানতা জন্য বিস্তর তিরস্কার করিতে লাগিল, পরে গ্রামের পাচ জনকে একত্র করিয়া তাহারদিগকে সমস্ত বৃত্তান্ত অবগত করিল। তাহার ক্ষেত্রপতিকে জিজ্ঞাসা করিলেন “তোমার ক্ষেতে কত মণ শস্য উৎপন্ন হয়।” সে কহিল “দুই খণ্ডী ।” তঁাহারা তদনুসারে দুই খণ্ডীর মূল্য ক্ষেত করাকে দণ্ড স্বরূপী লিখিয়া দিতে তুকারামের প্রতি আদেশ কয়িলেন । তৎপরে পঞ্চায়তের মধ্যস্থগণ নিজ চক্ষে ক্ষেত্র তদারক করিতে গিয়া যে দৃশ্য দেখিলেন তাহাতে অবাক । দেখেন ষে ক্ষেত্রটি শস্যে শস্যে ছাইয়া গিয়াছে । শস্য সংগৃহীত হইলে তাহা হইতে ১৭ খণ্ড দান। উৎপন্ন হইল। গ্রামবাসীরা বিঢ়ারে ধাৰ্য্য করিলেন যে দুই খণ্ডীমাত্র ক্ষেত করার কথামত তাহার প্রাপ্য - অবশিষ্ট ভাগ তুকারামকে দিতে হইবে। কিন্তু ভূ কারাম তাহা গ্ৰহণ করিতে সন্মত হইলেন না । কোন এক ব্ৰাহ্মণের নিকট উদ্বাৰ্ত্ত দানা গচ্ছিত রহিল । অবশেষে দেহুর মন্দির ভগ্ন গ্ৰায় হইয়াছিল তাহার সংস্করণ কায্যে তাহ ব্যয়িত হইল । রাজা শিবাজীর প্রাণরক্ষা । শিবাজী তুকারামের সহিত একবার পুণায় গিয়া সাক্ষাৎ করেন। তথায় একদিন তিনি তুকারামের কথকতা শ্রবণ করিতেছেন, এমন সময় চাকন দুৰ্গা-রক্ষক একজন মুসলমান সরদার তাহার সন্ধান পাইয়া ঠাঁহাকে ধরিবার জন্য একদল পাঠান সৈন্য প্রেরণ করেন। মুসলমান ইতিহাসে এই রূপ কথিত আছে যে, পাঠানেরা