পাতা:নবরত্নমালা - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃক রাম । 8 (፩ জ্ঞান করিতেন। তিনি বলিয়াছেন—“আমি আর কিছু চাহি নাপৃথিবীর ধন মান ঐশ্বৰ্য্য চাহি না-যাহাতে তোমার সেবক হইয়া থাকতে পারি।--তোমার গুণগান করিয়া জীবনযাপন করিতে পারি শুধু এই আমার বাসনা । এই দুর্লভ মানবজন্ম ছাড়িয়া নির্বাণ লাভের ও আমি প্রয়ার্সা নাহি ।” মুখে ধৰ্ম্মভানকারী, অন্তরে ঘোর বিষয়া, যে সকল লোক কতক গুলি বাহ আচার ও অনুষ্ঠান ধৰ্ম্মসাধন মানিদ্রা চলে, তাহাদিগকে তিনি দেখিতে পারিতেন না । তিনি বলিসা ছেন, আগুঃ শুদ্ধিই সাধুত্বের আসল লক্ষণ। তৃকারাম যে বাস্তবিক একজন ভগবদ্ভক্ত সাধু ছিলেন, তাহা তাহার জীবনপুস্তকে সুস্পষ্টরূপে লিখিত আছে। তাহার বৈরাগ্য কেবল মুখে নয়—তাহার জীবনে ফলিত হইয়াছিল। তিনি স্বেচ্ছা পূৰ্ব্বক সৰ্ব্ব তTাগী হইয়া সন্ন্যাসী হইলেন। শোক তাপ, দুৰ্ভিক্ষ ও দারিদ্র্য কষ্টে প্রথমে তাহার সংসার ত্যাগে প্ৰবৃত্তি জন্মে-পরে যখন তাহার, যশসৌরভ মহারাষ্ট্রেব ঘরে ঘরে বিকীর্ণ হইল - যখন লক্ষ্মী তাহার দ্বারে আসিয়। তাহাকে আহবান করিলেন, এবং সুতুলিভ রাজ-প্ৰসাদ তাহার হস্তগত হইল, তখন তিনি সে সমুদয় প্রলোভন তুচ্ছ করিয়া আপনার ভ্ৰমে আপনি মগ্ন রছিলেন। তুক রামের জীবনকাহিনী জানিতে হইলে তােহর অভঙ্গ বলা আলোচনা করিতে হয় । সেই সকলে আ ভঙ্গের মধ্যে তা হ্রার আধা খুক জীবনের বিশেষ পরিচয় পাওয়া ধায় । তাহার ইন্দ্ৰয়নিগ্ৰহ, স্বাথ ত্যাগ, তিতিক্ষা সন্তোষ, ধৈর্য্য সপি ফুধু তা, বিনয় নমতা, ( ষে সমস্ত গুণ গীতায় দৈবী সম্পৎ বলিয়া অভিহিত, ) ঈশ্বর লাভের জন্য তাহার আস্তরিক ব্যাকুলতা, বিঠোবার প্রতি প্ৰগাঢ় ভক্তি- এই সমস্ত ভাব-অভঙ্গের পত্রে পত্রে জলন্ত অক্ষরে অধিক ৩ দেখা ধায় । তুকারামের অভঙ্গ সংগ্ৰহ