পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১১৫৬ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । সেই কৃষ্ণ প্ৰণমিছে চরণে আমার ” ভক্তিবিগলিত দুই নয়নধারায় বীরের ভিজিতেছিল অস্ত্র-উপধান ! : কহিলেন কৃষ্ণ-“আৰ্য্য! একি কথা হস্তু জগতে কাহাকে তবে করিব প্রণাম ? পবিত্র জীবন ধীর, বীরত্বের গাথা, জগতের ইতিহাসে রবে অতুলিত , দশ দিবসের যুদ্ধ শর-শয্যা রার করিবে মানব জাতি বিস্ময়ে প্রস্থিত ; পিতৃভক্তি যার এই আত্ম-বিসর্জন, প্রতিজ্ঞ, জিতেন্দ্রিয়তা হইবে ঘোষিত । অনন্ত কালের কণ্ঠে প্রবাদের মত, মানবের কৰ্ম্মপথ করি আলোকিত ; মানব-জগতে বুবে হিমাদ্রির মত বিরাট গগনস্পর্শী মূতি যাহার ; তার পদ-তীর্থে নাহি প্ৰণমিয়া হয় : নমির মানব আমি চরণে কাহার ?” মানব –মানব তুমি –তুমিও মানব । দেবতার উদ্ধে তবে মানবের স্থান ! রবি শশী, বালুকণা ! পারাবার কূপ । । বীকের স্তুপ তবে গিরি হিমবান ! ভীষ্ম কি এতই পাপী হা কৃষ্ণ ! এরূপে আসন্ন কালেও ভূমি বঞ্চিবে তাহায় ? সেই রাজস্বয়যজ্ঞে সৰ্ব্বাগ্রে কেশব ! চিনিয়াও না চিনিল ভীষ্ম কি তোমায় ? এই মাত্র এভিমস্থা,-আহা ! বংগ সম কৌরব-খনির শিশু মণি সৰ্ব্বোত্তম!