পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২২২ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । - . পুড়িছ কেমনে হয় | পতঙ্গের মত বিপুল ক্ষত্রিয় কুল ? পুড়িছ বাসুকি, অভাগিনী জরৎকারু । পুড়িছ দুৰ্ব্বাসা ? ঋষি কুলে ধূমকেতু, জলস্ত বিদ্বেষ, মহাক্ৰোধ মূৰ্ত্তিমন্ত, স্বজিলে কেমনে? ভীষ্মের শিবির দ্বারে দিলেন বিদায় মহর্ষি, মইতেছিমু আশ্রমে অদূরে, দেখি যোগিনী এক শেরবু শিবিরে যাইতেছে, অলক্ষিতে চলিচু পশ্চাতে,— কি যে অমঙ্গল ছায়া পড়িল হৃদয়ে! : একি দেখিলাম হয় । একি শুনিলাম । কি স্বর্গ ছায়ায় কিৰা নরক ভীষণ । প্রভদ্রার সেই দয়া, ধৈর্য্য গোবিন্দের, কারুর নিরাশ; মরু, ষড়যন্ত্র ঘোর নিশীথে নিবিড় বনে কর্ণ দুৰ্ব্বাসার – আকাশ পড়িল ভাঙ্গি মস্তকে আমার । বাছা! তুষ্ট বারি বিন্দু ত্রিদিব প্রস্থত পড়েছিলি আমি ক্ষুদ্র গুক্তির হৃদয়ে । আমার হৃদয়-মুক্ত হৃদয় চিরিয়া নিতেছে কাড়িয়া হায় ! নিৰ্দ্দয় তস্কর,— সহিব কেমনে আমি ? হায় বাছা মোর ”— কঁদিতে লাগিল শোকে উন্মত্ত হৃদয়ে নীরব, নিদ্রিত, চন্দ্র-প্রদীপ্ত-প্রস্তরে } *যাব নারায়ণ কাছে — হায় হিমাদ্রির পদমূলে পিপীলিকা, সিন্ধু পদতলে বালুক, দুঃখের কথা কহিবে কেমনে ?