পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আলিঙ্গিয় পরম্পরে। বাম অংসোপরে স্বভদ্রার অধোমুখ আছে শৈলজার । চাহি শূন্ত পানে ভজা কহিতে লাগিলা-- “চতুর্দশ বর্ষ আজি, প্রতিমা রে তোর পূজিয়াছি নিরস্তর হৃদয়ে দুজনে । স্থতিতে শোকশ্রু কত করিয়া মিশ্রিত, কত বর্ণে সে প্রতিমা করেছি চিত্রিত। কন্তু ভাবিতাম তুই অস্ত্রে বাস্তুকির নিহত, আকুল প্রাণে কঁদিতম কত, বৎসহায় বন-মৃগ-দম্প্রতির মত । পুনঃ ভাবিতাম নহে নিষ্ঠুর এমন নারায়ণ, এই বন-মল্লিকা তাহার করিয়া অদৃষ্ঠে পুণ্য-সৌরভ বিস্তার, তাপিত মানব প্রাণ করিছে শীতল ;– এ জীবনে এক দিন পাব দর্শন। স্কৃতির আলেখ্য শৈল পরিয়া নয়নে, অ কি দুই জনে তব চারু চিত্রপট, রাখিয়াছি শয্যাগৃহে ৷ অ'কিতে সে ছবি কত আশ্র দুই জন করেছি বর্ষণ। সেই চিত্রে, এই চিত্রে কতই অন্তর । , সে নীলাজ-কলি আজি ফুটন্তু নলিনী ; সে পঞ্চমী আজি কিবা পূর্ণিমা রজনী ! এই পবিত্রত, প্রেম, শাস্তি, সরলতা, কে পারে চিত্রিতে,—এই প্রাণ-কোমলতা ? এ কোমল প্রাণে, এই কোমল শরীরে, বেড়াইয়া বনে বনে হয়। বাণ-বিন্ধ