পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>२88 নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী করিয়াছে মহাবন, করিতে দাহন সে খাণ্ডব, জলিয়াছে কুরুক্ষেত্র রণ,শিবিরে বসিয়া ওই সাক্ষী নারায়ণ , সুভদ্রার পতি পুত্র আত্ম-সমৰ্পণ, করি এই হুতাশনে পৃথিবী পাবক, . করি ধরতিলে ধৰ্ম্ম-সাম্রাজ্য স্থাপন, মানবের মুখ পথ করে উন্মোচন ;– তবে শৈল ভাগ্যবতী পুণবৃত্নী, আর কে আছে এ ধরাতলে মত সুভদ্রার ? বহিছে যুগল ধারা জগত-মাতার 忍 যুগল কপোলে মাতৃ-প্রেম-বিগলিত সন্তাপ-হারিণী। শৈল কহিল উচ্ছ্বাসে,— “পিতৃগণ ! দেবগণ ! কে আছ কোথায়, দেখ পুণ্যবতীর এ আত্ম-বিসর্জন মানব উদ্ধার ব্ৰতে ! এ পুণ্যে মাতার, করিয়া শৈলের স্নেহে, কবচ নিৰ্ম্মাণ সমরে করিও রক্ষা বাছায় আমার ” নীরবে আকাশ পানে চাহিয়া চাহিয়া কিছুক্ষণ দুইজন, চাহিল বিদায় নমিয়া চরণে শৈল । দাড়াইয়া ভদ্রা সস্নেহে ধরিয়া কর কহিলেন ধীরে— “থাক্ মুহূৰ্ত্তেক শৈল মধ্যম পাওবে ডেকে আনি, ডেকে আনি নর-নারায়ণে,— আমার তোমার দেব, উপাস্ত যুগল ! পাইবেন যেই মুখ দেখি তোর মুখ দুই জনে, পরিবে না কুরুক্ষেত্র-জয়