পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ ৪১২ নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । নাহি কি রমণী-ব্রত উচ্চতম, মা আমার ?” “আছে”—স্থিরকুণ্ঠ বাম কহি iা গইল ধীরে“পালিব তা, মাথিয়া মা ! পতপদ-ভস্ম শিরে ” নীরবে শিবির হতে বহিরল দুইজন আর চলিল না পদ-ও কি দৃপ্ত বিভীষণ । তৃতীয় প্রহর নিশি ; জলিতেছে অগণিত চিতাকুরুক্ষেত্র-বক্ষে,--জলিতেছে সংখ্যাতীত চিতা বক্ষে ভারতের, জলিতেছে অনিবার ক্ষত্রিয়ের গৃহে গৃহে, বক্ষে বক্ষে অনাথার নিবিড় সুচিকাবিদ্ধ অমাবস্তা অন্ধকারে জ্বলিতেছে চিতশ্রেণী ; কুরুক্ষেত্র চিতাহরে কালের জীবন্ত মূৰ্ত্তি করি যেন অভিনয়, দেখাইছে কাল-গর্ভ বিরাট শ্মশানালয় । যোজন যোজন ব্যাপী, স্থানে স্থানে নদীতীরে জলে রথীদের চিতা, প্রতিবিম্বে নীড়ে । জ্বলিছে অনন্ত চিতা,—কি যে কি ভীষণ ছবি । নদীগর্ভে অস্ত যেন হতেছে অনন্ত রবি ! হায় ! এক মহাচিত ততোধিক বিভীষণ যথায় হইল ভস্ম অনাথ সৈনিকগণ,— অষ্টাদশ অক্ষৌহিণী,-ক্ষুদ্র অগ্নি পারাবার,— জ্বলিতেছে দূরে, মনে আতঙ্ক কার সঞ্চার । মহা নরমেধযজ্ঞ হইয়াছে সমাপন, নিশিশেষে ধীরে ধীরে নিৰিতেছে হুতাশন এনস্ত শ্মশান-ধূমে সমাচ্ছন্ন শীতাকাশ । একটা নক্ষত্র নাহি হইতেছে পরকাশ । ঘোর কৃষ্ণ নৈশাকাশ ; শোকেতে নক্ষত্র যত