পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లి}8 নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী । - গেল পতি-চিতামূলে। দূর হিরণ,তী-তীরে, অশোক পাদপ-মূলে সে পবিত্র তীর্থধাম প্ৰণমিল, কি উচ্ছ্বাসে উছলিল হটি প্রাণ ! প্রিয় পুত্র লয়ে বক্ষে স্থলোচনা পুণাবতী লভিয়াছে নিরবণ একই চিতায় সতী। ত্রিদিব বীণার বক্ষে যেন পুণ্যময় গীত হইয়াছে লয়, বীণা হইয়াছে অন্তৰ্হিত । ব্যোম-বিহারিণী তরী হইয়া গগনেথিত, আলোক সহিত যেন হইয়াছে অলক্ষিত । নিৰ্ব্বাপিত প্রায় চিতা ! ক্ষীণলোকে নারায়ণ দাড়াইয়া অস্তুরালে করিলেন দরশন উত্তরার শোক-ছবি, বিদীর্ণ হইল বুক,— কি আলোকে, ও কে বসি, হায় ! এ কাহাবু মুখ ; গিয়াছে বহিয়া যেন কত যুগ উত্তরার, ঘটাইয়া কি বিপ্লব ক্ষুদ্র হৃদয়েতে তার ! নব যৌবনের সেই পুষ্পকীর্ণ রঙ্গালয়ে করিতেছে প্রৌঢ়তায় কি দারুণ অভিনয় ! বিশুদ্ধ অক্ষুট ফুল, নিবিয়াছে অ'লোরাশি, ফুটন্ত আননেচ্ছুসে শোক উঠিয়াছে ভাসি হাসি ভর, ক্রীড়া ভরা, সে চঞ্চল দৌদামিনী, হয়েছে গান্তীৰ্ঘ্য পুরা কি নিবিড় কাদম্বিনী ! জ্যোৎস্না-প্লাবিত সেই ফুটন্ত কুসুম লতা, এবে শুষ্ক, অৰ্দ্ধদগ্ধ হয় ! বজ্রাঘাতে যথা । অশোক পদাপ মূলে শোকে দাড়াইয়া হরি, অদৃপ্ত, অ ধরে স্থির, বৃক্ষে শির বৃক্ষা করি, ঘোর ঝটিকায় পূর্ণ যেন মহ জলধর,