পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাস । ১৬২৭ দীপ্ত সন্ধা পার্শ্বে যেন কুর জ্যোৎস্নার। নির্নিমেষ নেত্ৰ চারি, চাহিয়া অনন্ত বারি, অনন্ত বারির ক্রীড়া অনন্ত মুন্দর,— চিন্তাকুলা সত্যভামা, কুঞ্চিত অধর । বিমুক্ত কবরীরাশি, পড়েছে পর্যাঙ্কে ভাসি, সুধাকর হতে যেন নীলামৃত ধারা ; সান্ধ্য গগনের মত স্থির নেত্র তার । সেই মুক্তকেশপটে সে রূপের খেল,— সন্ধ্যাপ্লটে বসন্তের অপরাষ্ট্র বেলা। উভয়ে নীরবে ধানে, চাহিয়া সিন্ধুর পানে ; রুক্মিণীর দৃষ্টি,-দৃষ্টি শাস্ত জ্যোৎস্নার। সত্যভামা দৃষ্টি,-দৃষ্টি গাম্ভীৰ্য সন্ধ্যার। চাহিয়া চাহিয়া মুগ্ধা বিদর্ভনন্দিনী— “কি অনস্তু শোভা ! দিদি ”—কহিল। রুক্মিণী। "অপরাহ্ল শেষে শাস্ত সমুদ্র-হৃদয় হইয়াছে সমুজ্জ্বল নীলমণিময় । সিন্ধু যেন পুণ্যরাশি, কিছু৭ আনন্দ হাসি সিন্ধুবক্ষে বসত্ত্বের সান্ধ্য রধিকর,— পুণ্যধক্ষে আনন্দের আলোক সুন্দর । আনন্ম-মণ্ডিত, পুণ্যে পূর্ণিত অর্ণব, চেয়ে দেখ ”—সত্যভামা নিম্পন্দ নীরন্ধু । নিম্পদ নীরব চাহি চাহি কিছুক্ষণ কহিল। রুক্মিণী-“দিদি স্বষ্টির প্রথম অনন্ত সলিন্সবক্ষে ছিল নারায়ণ ভাসমান,—দেখ সেই দৃপ্ত নিরুপম । দেখ সেই পারাবার । ভাসিতেছে বক্ষে তার