পাতা:নবীনচন্দ্রের গ্রন্থাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভাস । । Soot. বহুক্ষণ সত্যভামা রহিল নীরবে চাহি সান্ধ্য সিন্ধুপানে, নিমজ্জিত ম্বেন ধ্যানে ধীরে ধীরে সন্ধ্য আসি সিন্ধু নীলিমায় মাখিছে নীলিমা আরো গভীর ছায়ায় । “দিদি, যাহা কহ তুমি ; আমার হৃদয়-ভূমি” কহিলেন সত্যভামা—“ছাইয়া সতত সিন্ধু-বক্ষে ধীরে এই সন্ধ্যা-ছায়া মত, হইতেছে গাঢ়তর সেই ছায়া নিরস্তর ; এই আনন্দের ধ্বনি শ্রবণে আমার ধ্বনিতেছে যেন অশাস্তুির হাহাকার । দেখ ওই সিন্ধু নীর, কেমন প্রশাস্তু স্থির ! মুহূৰ্ত্তে, ঝটিকা তাহে হইলে সঞ্চার দোপপে হইবে বিধুমিত পারাবার । এই শান্তি যাদবের, এই ধ্বনি আনন্দের শুনি ে১ছ, কোন দিকে দেয় দরশন যদি মেঘ, উঠিবে কি ঝটিকা ভীষণ ।” নারায়ণ ধীরে ধীরে পশিলেন এ শিবিরে, প্রশান্ত প্রসন্ন মূৰ্ত্তি । আয়ত নয়ন প্রশান্ত প্রসন্ন, যেন সায়াহ গগন । প্ৰণমিলা দুই রাণী পরশিয়া পা ছুখানি,— অগ্রে সত্যভাম, পরে বিদর্ভনন্দিনী, অগ্রে উষা, পরে দিবা মুচারুহাসিনী, নমিলা উদয়াচল পদতল নীলোজ্বল, শরতের সুপ্রভাতে ; বসিলা কেশব পর্যাঙ্কে, বসিল দুই বৰ্মণী বিভব । লইয়া পতির কর নিজ করে ক্ষুদ্রতর,